5G Data Price: খরচ কি বাড়বে ৫জি পরিষেবার? নাকি ৪জি পরিষেবার দামেই ব্যবহার করা যাবে

Updated on:

আর মাত্র কয়েকমাসের অপেক্ষা, তারপরেই এসে যাবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, গোটা দেশে চালু হবে বহুপ্রতীক্ষিত 5G (৫জি) পরিষেবা। চলতি সময়ে দেশের আকাশে-বাতাসে ম ম করছে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্কের আগমনের খবর। ইতিমধ্যেই সফলভাবে 5G ভয়েস, নেট সার্ভিস, এবং ভিডিও কল টেস্ট করা হয়ে গিয়েছে। তদুপরি, টেলিযোগাযোগ বিভাগ একথাও জানিয়ে দিয়েছে যে, আগামী জুনেই স্পেকট্রামের নিলামপর্ব শুরু হতে চলেছে এবং তা মিটে গেলেই 5G পরিষেবার খরচ ঠিক হয়ে যাবে, আর তার অনতিবিলম্বে দেশে বাণিজ্যিকভাবে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক রোলআউটের কাজ শুরু হবে। এইসব ঘটনাই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, দেশের জনগণের হাতে ‘রকেটের’ গতির নেটওয়ার্ক সার্ভিস আসতে আর খুব বেশিদিন সময় লাগবে না।

কিন্তু দ্রুত গতির ইন্টারনেট স্পিড উপভোগ করতে গেলে কত টাকা খরচ করতে হবে, সেই কথাই এখন দেশের আপামর জনগণের মাথায় সর্বক্ষণ ঘোরাফেরা করছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে বহু জল্পনা-কল্পনা চলছে। টেলিকম সংস্থাগুলিও আসন্ন পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্কের দাম সম্পর্কে মাঝেমধ্যেই বেশ কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে, আর এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে একাধিক রিপোর্ট হামেশাই মার্কেটে ঘোরাফেরা করে। পাশাপাশি ঠিক কবে নাগাদ ৫জি পরিষেবা রোলআউট হবে, এতদিন পর্যন্ত তা ছিল অনিশ্চিত। তবে সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মোদী সরকার চাইছে চলতি বছরের ১৫ আগস্ট থেকেই গোটা দেশজুড়ে বাণিজ্যিকভাবে চালু হোক ৫জি, আর সেজন্য কেন্দ্রের টেলিকম বিভাগ জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এবং একথাও আমাদের সকলেরই জানা যে, দেশের শীর্ষস্থানীয় তিনটি বেসরকারি টেলিকম কোম্পানি Reliance Jio (রিলায়েন্স জিও), Airtel (এয়ারটেল), এবং Vodafone Idea (ভোডাফোন আইডিয়া) বা Vi (ভিআই) ইতিমধ্যেই সফলভাবে ৫জি নেট সার্ভিস টেস্ট করেছে এবং চূড়ান্ত সাফল্যও পেয়েছে। ফলে ৫জি রোলআউটের প্রস্তুতিপর্ব মোটামুটি সম্পূর্ণ হয়ে গেছে বললেই চলে। তাই এখন যে সত্যি সত্যিই ৫জি নেটের দাম নিয়ে চিন্তাভাবনা করার সময় এসে গিয়েছে, সেকথা বলাই বাহুল্য।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি ভেবে থাকেন যে দুরন্ত গতির ইন্টারনেট স্পিড উপভোগ করতে হলে আপনাকে বেশ অনেকটাই গাঁটের কড়ি খসাতে হবে, তাহলে জানিয়ে রাখি যে আপনার ধারণাটি একেবারেই ভুল। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ৪জি (4G)-র তুলনায় ৫জি নেট সার্ভিস একটু বেশি দামি হবে, কিন্তু এর জন্য যে আপনাকে অনেকটা টাকা খরচা করতে হবে, এরকমটা কিন্তু একেবারেই নয়। আর একথা বলছেন স্বয়ং এয়ারটেলের সিটিও, রণদীপ সেখন (Randeep Sekhon)। এই বছরের মার্চ মাসে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানিটি একটি ইভেন্টের আয়োজন করেছিল, এবং সেখানেই তিনি আসন্ন ৫জি পরিষেবার একটি ঝলক জনসাধারণের সামনে তুলে ধরেন। এবং সেইসাথে এই সার্ভিসের জন্য কত টাকা খরচ করতে হতে পারে, সে সম্পর্কেও কিছু ইঙ্গিত দেন।

ইভেন্টটিতে সেখন খুব স্পষ্টভাবে সকলকে জানিয়েছেন যে, 4G-র তুলনায় 5G যে একটু বেশি ব্যয়বহুল হবে সেটা তো খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহারের জন্য গ্রাহকদের কোনোমতেই মাত্রাতিরিক্ত টাকা খরচা করতে হবে না। ইউজাররা যে-কোনো টেলিকম সংস্থার পরিষেবাই ব্যবহার করুন না কেন, সবকটি অপারেটরের রিচার্জ প্ল্যানের দাম প্রায় একইরকম হবে। আর 4G-র ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা যেমন নিজেদের পছন্দমতো বিভিন্ন রেঞ্জের প্ল্যান বেছে নেওয়ার সুযোগ পেতেন, 5G-র ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হবে। তিনি একথাও বলেছেন যে, 5G-র সঠিক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য সংস্থাটি ১৫ মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে, এবং ইতিমধ্যেই তারা সফলভাবে পরবর্তী প্রজন্মের নেট সার্ভিস টেস্ট করে দুর্দান্ত সাফল্যও পেয়েছে। তাই আর কিছুদিনের মধ্যেই জনসাধারণকে দ্রুত গতির ইন্টারনেট স্পিড উপহার দিতে তারা একদম প্রস্তুত। সেক্ষেত্রে Airtel-এর সিটিও-র কথায় এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, উচ্চ, নিম্ন কিংবা মধ্যবিত্ত – সকল শ্রেণীর মানুষই অতি অনায়াসে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের মজা উপভোগ করতে সক্ষম হবেন। এবার কবে সেই দিনটি আসে, এখন তারই প্রতীক্ষায় রয়েছে গোটা দেশবাসী।

সঙ্গে থাকুন ➥