২০৩০ সালের মধ্যে 6G নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির করছে Nokia, বড় ঘোষণা সংস্থার প্রধানের

Avatar

Published on:

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন ৫তম প্রজন্মের সেলুলার নেটওয়ার্ক বা 5G নিয়ে কাজ করছে। তবে এর মাঝেই, ‘নেক্সট জেনারেশন’ 6G নেটওয়ার্ক স্ট্যান্ডার্ড টেকনোলজি সংক্রান্ত তথ্য খবরের শিরোনামে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই শোনা গেছে Qualcomm, Apple, Google এবং LG-এর মতো কোম্পানি 6G নেটওয়ার্কিং টেকনোলজি উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। এখন আবার ফিনল্যান্ড ভিত্তিক বহুজাতিক টেক সংস্থা Nokia -এর সিইও পেক্কা লুন্ডমার্ক (Pekka Lundmark), ডাভোসে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে’ বক্তৃতা দেওয়ার সময় দাবি করেছেন যে, চলতি দশকের শেষার্ধ নাগাদ 6G মোবাইল নেটওয়ার্ককে আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করে দেওয়া হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে 6G নেটওয়ার্ক বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ হবে, দাবি Nokia প্রধানের

গত মঙ্গলবার ডাভোসে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’ -এর একটি প্যানেলে বক্তৃতা দেওয়া সময় নোকিয়া সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পেক্কা লুন্ডমার্ক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, ৬জি মোবাইল নেটওয়ার্কিংয়ের স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন ২০২৫ সালে শুরু হতে পারে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে রোলআউট করা হবে। দেখতে গেলে, লুন্ডমার্ক প্রদত্ত ৬জি নেটওয়ার্ক স্ট্যান্ডার্ডের উপলব্ধতা সংক্রান্ত এই টাইমলাইনটি, হুয়াওয়ে সংস্থা ঘোষিত প্রত্যাশিত সময়সীমার সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে।

যাইহোক, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬জি পরিষেবার ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্মার্টফোন সবচেয়ে “কমন ইন্টারফেস” হবে না, বলে বিশ্বাস রাখছেন লুন্ডমার্ক। একই সাথে, নোকিয়া প্রধান আরো বলেছেন যে, “বাস্তব জগত এবং ডিজিটাল বিশ্ব একসাথে বৃদ্ধি পাবে”। অর্থাৎ, বিষয়টি আরেকটু বিশদে বললে, পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্কিং পরিষেবা ব্যবহার করে মানুষ ‘ভার্চুয়াল রিয়ালিটি’ বা VR জগতে যেতে পারবেন, যা বাস্তবিক জগতে কিছুটা পরিবর্তন আনবে। আর এরূপ ‘ডিজিটাল টুইনিং’ অর্থাৎ বাস্তব ও প্রযুক্তির দুনিয়ার একত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, “বিশাল গণনামূলক সংস্থান” প্রয়োজন হবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন পেক্কা লুন্ডমার্ক।

বিশ্ব জুড়ে অবস্থিত বিভিন্ন নামজাদা টেক সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই ৫জি -এর পাশাপাশি ৬জি নেটওয়ার্ক সলিউশন ডেভলপ করার ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ শুরু করে দিয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য টেক জায়ান্ট এই পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বিকাশের জন্য অংশীদারিত্ব করছে বলেও জানা গেছে।উদাহরণস্বরূপ, কোয়ালকম, অ্যাপল, গুগল এবং এলজি-র মতো সংস্থা বর্তমানে একটি ‘৬জি ওয়ার্কিং গ্রুপ’ -এর সদস্যবর্গদের মধ্যে রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ৬জি নেটওয়ার্কের স্পিড কত দ্রুত হতে চলেছে, তা এখনো আমরা জেনে উঠতে পারিনি। তবে জানা যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে ‘ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন’ (ITU) দ্বারা ৬জি -এর ইন্টারনেট স্পিড সংজ্ঞায়িত হবে। যদিও সম্প্রতি প্রকাশিত একাধিক রিপোর্টে, ৫জি -এর তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ ‘ফাস্টার’ স্পিড অফার করবে ৬জি, এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

যদিও, ৬তম প্রজন্মের সেলুলার নেটওয়ার্ক নিয়ে বিভিন্ন টেক সংস্থাগুলি মাতামাতি করলেও, বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন ছবি দেখাচ্ছে। বিশ্ব জুড়ে এমন বিপুল সংখ্যক স্মার্টফোন ব্যবহারকারী আছেন, যারা এখনো ৪জি থেকে ৫জি নেটওয়ার্কে স্থানান্তরিত হয়নি। বিশেষত ভারতের একাধিক প্রত্যন্ত প্রান্তরের মানুষ এখনও ঠিক ভাবে ৪জি নেটওয়ার্কের অভিজ্ঞতাই অনুভব করতে পারেনি। অতএব, এই মুহূর্তে, ‘হাই স্পিড নেক্সট জেনারেশন’ নেটওয়ার্কের বিকাশের পাশাপাশি ৫জি পরিষেবা আনা এবং বন্টনের দিকেও সমান ভাবে মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি।

সঙ্গে থাকুন ➥