প্রয়োজনে গ্রাহকের যৌনতা সম্পর্কিত তথ্য নেবে, এয়ারটেলের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে নতুন বিতর্ক

Avatar

Published on:

বিভিন্ন অ্যাপ, ওয়েবসাইটসহ সামগ্রিক ইন্টারনেট পরিষেবায় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সবসময় সুরক্ষিত থাকেনা, এমন অভিযোগ বারবার সামনে এসেছে। এবার এয়ারটেলের প্রাইভেসি পলিসিকে কেন্দ্র করেও বিতর্কের সৃষ্টি হল। Airtel গ্রাহকের ধর্ম – বর্ণ – জাতিপরিচয় কেন্দ্রিক, যৌনতা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কিত একান্ত ব্যক্তিগত তথ্যাবলি অ্যাকসেসের জন্য অনুমোদন দাবী করছে বলে অভিযোগ! শুধু তাই নয়, এই সমস্ত তথ্যগুলি চাইলেই তারা বিভিন্ন থার্ড পার্টি সোর্সের সঙ্গে বিনিময় করতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই টেলিকম সংস্থার এমন আচরণকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

এয়ারটেলের প্রাইভেসি পলিসি, গ্রাহকদের ব্যক্তিগত স্পর্শকাতর তথ্যগুলিকে আইনগত বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহারের কথা বলছে। তারা অকপটে স্বীকার করেছেন যে তারা গ্রাহকের জেনেটিক, বায়োমেট্রিক, জাতি – সম্প্রদায়গত, যৌন পছন্দ – অপছন্দ, রাজনৈতিক বিশ্বাস, এমনকি আর্থিক ও শারীরবৃত্তিয় বিবরণগুলিকেও নানা কারণে ব্যবহার এবং আদান – প্রদান করতে পারেন! তবে এক্ষেত্রে তারা বারবার আইনি বৈধতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। অবৈধভাবে উপভোক্তার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্যকেই তারা যে কোনভাবেই ব্যবহার করতে চান না, সেই বিষয়টি এয়ারটেলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকেই তারা অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে সাফাই দিয়েছেন।

এদিকে আইনজীবি এবং সাইবারসুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, প্রশান্ত মালির বক্তব্য, তথ্য এবং প্রযুক্তি আইনের (২০০২) ৪৩এ ধারা মোতাবেক এয়ারটেল চাইলে তাদের গ্রাহকের জাতি – বর্ণ – ধর্ম – যৌনতা সংক্রান্ত একাধিক তথ্যকে ব্যবহার করতেই পারে। তবে এই ব্যবহার যে সমস্ত বিধিনিষেধের উর্ধ্বে নয়, সে কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। প্রাইভেসি সম্পর্কিত সাধারণ নির্দেশগুলিকে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি তথ্যগুলির অপব্যবহারের প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন। ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে উপভোক্তা চাইলেই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অপরাধ সাব্যস্ত হলে কোম্পানী অভিযোগকারিকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

সঙ্গে থাকুন ➥