Amazon-এর বিরুদ্ধে নকল Apple Watch বিক্রির অভিযোগ! এবার ৫০,৯৯৯ টাকা ক্ষতির মুখে ক্রেতা

Avatar

Published on:

ঘরে বসে অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস অনলাইনে কেনাকাটা করার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হল Amazon (অ্যামাজন)। সংস্থাটি এমনিতেই ভারতে তথা গোটা বিশ্বে বিপুলভাবে জনপ্রিয়, তার ওপর আবার সাম্প্রতিককালে করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন শপিংয়ের পরিমাণ বহুগুণে বাড়ায় Amazon-এর জনপ্রিয়তাও ইদানীংকালে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বরাবরই ইউজারদের অত্যন্ত সহজ-সরল ও সাবলীল শপিং অভিজ্ঞতা প্রদান করার ক্ষেত্রে সংস্থাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথা কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। তবে ইচ্ছেমত কোনো প্রোডাক্ট অর্ডার করে হাতে যদি একটি নকল জিনিস চলে আসে, তাহলে কিন্তু সেক্ষেত্রে আর সেই শপিং এক্সপেরিয়েন্সকে ‘মধুর’ বলা চলে না। তার ওপর জিনিসটি যদি বেশ খানিকটা চড়া দামের বা Apple (অ্যাপেল) কোম্পানির প্রোডাক্ট হয়, তাহলে তো আর হতাশার শেষ নেই! কিন্তু ভাগ্যের ফেরে কার্যত এমনই ঘটনার সম্মুখীন হলেন এক মহিলা।

অনলাইনে Apple Watch কিনে পস্তাচ্ছেন মহিলা

এম কে কৌর নামের ওই মহিলা টুইটারে জানিয়েছেন যে, তিনি অ্যামাজন থেকে ৫০,৯৯৯ টাকা মূল্যের একটি Apple Watch Series 7 অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু পার্সেলটি হাতে আসার পর সেটি আনবক্স করলে তিনি দেখেন, যে প্রোডাক্টটি পেয়েছেন সেটি সম্পূর্ণ জাল! এই ঘটনা তাঁকে চূড়ান্তরকমভাবে হতাশ করে। তিনি তৎক্ষণাৎ অ্যামাজনে তাঁর অভিযোগ জানান। কিন্তু এখানে কৌর আরো বড় ধাক্কা খান। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অ্যামাজন ওই মহিলাকে একটি চিঠি দিয়ে তাঁকে তাঁর প্রোডাক্টের টাকা ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে। বদলে চিঠিটিতে বলা হয় – ক্রেতা নকল প্রোডাক্ট পেয়েছেন জেনে তারা দুঃখিত। তবে তারা নিজস্ব টিমের কাছ থেকে জানতে পেরেছে যে সঠিক প্রোডাক্টটিই তাদের তরফ থেকে সেন্ড করা হয়েছিল এবং সেটি অক্ষতভাবে ডেলিভারিও করা হয়েছে। তাই তারা এই প্রোডাক্টটির জন্য কোনোরকম রিপ্লেসমেন্ট বা টাকা ফেরত দিতে পারব না।

এদিকে কৌর নিশ্চিতভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি যে প্রোডাক্টটি পেয়েছেন সেটি একেবারেই ভুয়ো। কেননা তিনি যে ওয়াচটি পেয়েছেন, তাতে আসল অ্যাপেল ওয়াচের তুলনায় অনেক পুরু বেজেল এবং পিছনে একটি স্ক্র্যাচ রয়েছে। সেইসাথে ওয়াচটির সাইজও ঠিক নেই। অ্যাপলের ৪১ মিমি ওয়াচ কেসের পরিবর্তে তাঁর ওয়াচটির ডায়াল সাইজ ৪৫ মিমি। তাঁর মূল অভিযোগ হল, অ্যামাজন ৩-৪ দিন ধরে বিষয়টিকে নিয়ে তদন্ত করার পরেও তাঁকে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেছে। কারণ তাদের রেকর্ড অনুযায়ী, সঠিক প্রোডাক্টটিই কৌরের কাছে পাঠানো হয়েছিল।

ওই মহিলা টুইটারেও আনবক্সিং ভিডিওটি আপলোড করেছিলেন, কিন্তু অ্যামাজন সেই ভিডিওটির প্রতি বিশেষ নজর দেয়নি বলেই ধারণা কৌরের। তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, অ্যামাজনের একজন মুখপাত্র 91mobiles-কে জানিয়েছেন যে, গ্রাহক Apple Watch-এর জন্য যে ৫০,৯৯৯ টাকা প্রদান করেছেন তার পুরো টাকাটাই ফেরত পাবেন। উপরন্তু, অ্যামাজন তাকে উপরি উপঢৌকন হিসেবে ১,০০০ টাকা মূল্যের একটি গিফট কার্ডও দেবে।

উল্লেখ্য, এরকম ঘটনা যে এই প্রথম ঘটছে তা তো নয়। এর আগেও বহুবার এই ধরণের খবর সামনে এসেছে। ক্রেতারা কখনো iPhone-এর পরিবর্তে সাবানের বার পাওয়ার কথা অভিযোগ করেছেন। কখনো আবার অ্যাপল জুস অর্ডার করে মিলেছে Apple ফোন। তবে ভুয়ো প্রোডাক্ট ডেলিভারি হলে Amazon কিংবা Flipkart-এর মতো নামজাদা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলি সর্বদাই গ্রাহকদের টাকা ফেরত পেতে সাহায্য করেছে। তাই ভবিষ্যতেও সংস্থাগুলি ক্রেতাদের কেনাকাটা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার অনায়াসে সমাধান করবে বলেই আশা করা যায়।

সঙ্গে থাকুন ➥