প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই যে কতদূর প্রেরণাদায়ী হতে পারে সম্প্রতি এক লিঙ্কডইন (LinkedIn) সদস্যের পোস্ট করা ছবিতে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এই ছবিতে রয়েছেন একজন মাঝবয়সী যুবক। হাসপাতালের শুভ্র বিছানায় নিজের খোলা ল্যাপটপে নজর রেখে তিনি বসে রয়েছেন। আসলে শুধু বসে নেই, বরং সেই মুহূর্তে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় ইন্টারভিউ দিতে ব্যস্ত।
LinkedIn -এ ছবির পোস্টকর্তা আর্ষ নন্দন প্রসাদ জানিয়েছেন, ছবিতে উপস্থিত যুবক অন্য কেউ নন, তিনি স্বয়ং। একইসাথে তার দাবি, বর্তমানে তিনি প্রাণঘাতী ক্যানসারের সাথে যুঝছেন। ফলে ছবিটিও হাসপাতালে তার কেমোথেরাপির সেশন চলাকালীন তোলা হয়েছে, যেখানে তাকে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে দেখা যাচ্ছে। বলা বাহুল্য, ছবিটি প্রকাশ্যে আসতেই আর্ষ বহু মানুষের জন্য প্রেরণার আধার হয়ে উঠেছেন। তার মনোবলের প্রশংসা করে অন্যান্য লিঙ্কডইন সদস্যেরা ইতিমধ্যে তাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
ক্যানসারের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে আর্ষ জানিয়েছেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র শারীরিক অবস্থার কারণে বহু কোম্পানি তাকে ইতিপূর্বে কাজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। তার এহেন অতীত অভিজ্ঞতা যে একেবারেই সুখকর নয়, তা আর্ষের বক্তব্যে স্পষ্ট ধরা পড়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলির এমন ভূমিকার কথা স্মরণ করেই আর্ষ মন্তব্য করেছেন যে এর থেকে বোঝা যায় ‘তারা কতটা উদার’।
এদিকে মহারাষ্ট্র ভিত্তিক এক টেক-সংস্থার সিইও (CEO) নীলেশ সতপুতে ক্যানসার আক্রান্ত আর্ষের লড়াইয়ের প্রশংসা করে তাকে নিজের কোম্পানিতে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন। আর্ষের পোস্টে কমেন্ট করে সতপুতে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তিনি তার সমস্ত শংসাপত্র পরীক্ষা করেছেন। ভালো হওয়ার সাথেই সেগুলি আর্ষের প্রতিভার পরিচায়ক। তাই এদের ভিত্তিতে তিনি তার নিজের কোম্পানিতে আর্ষকে চাকরি দিতে প্রস্তুত।
এছাড়া LinkedIn -এ আরো অসংখ্য বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীকে পাশে পেয়েছেন আর্ষ, যারা কেউই তার অদম্য মনোবলের তারিফ না করে পারেননি। সর্বোপরি বহু মানুষ তার সার্বিক সুস্থতা কামনা করেছেন, অনেকে আবার শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাকে। এমনকি আর্ষের পোস্টে ক্যানসার আক্রান্ত অপর এক নেটিজেন তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা বর্ণনার সাথেই আর্ষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
