সাইবার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন? হেল্পলাইন চালু করল সরকার

Avatar

Published on:

সাইবার অর্থাৎ অনলাইন জালিয়াতির সাথে মোকাবিলার জন্য নতুন ন্যাশনাল হেল্পলাইন পরিষেবা এবং রিপোর্টিং প্ল্যাটফর্ম চালু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবার থেকে ১৫৫২৬০ নম্বরে কল করে সাইবার জালিয়াতি বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবেন দেশের মানুষ। বর্তমানে ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশসহ সাতটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অধিবাসীরা এটির সুবিধা পাবেন; তবে কয়েকদিনের মধ্যে এটি ভারতের সমস্ত রাজ্যে উপলব্ধ হবে যার পরিচালন ক্ষমতা থাকবে রাজ্য পুলিশের হাতে।

সাইবার জালিয়াতির অভিযোগ জানানোর জন্য হেল্পলাইন চালু (National Helpline for cyber fraud)

জানিয়ে রাখি, ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার পরিচালিত এই নতুন হেল্পলাইনটি গত এপ্রিলে সফ্ট-লঞ্চ হয়েছিল এবং এটির সাথে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI), স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI), পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB), ব্যাংক অফ বরোদা, ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (BOI), ইউনিয়ন ব্যাংক, ইন্দাস-ইন্ড, এইচডিএফসি ব্যাংক, আইসিআইসিআই ব্যাংক, ইয়েস ব্যাংক অ্যাক্সিস ব্যাংক ও কোটাক মাহিন্দ্রার মত ব্যাংক যুক্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, এটিতে PayTM, PhonePe বা Mobikwik-এর মত ইউপিআই প্ল্যাটফর্ম এবং Flipkart, Amazon-এর মত ই-কমার্স সাইটগুলিও লিঙ্ক রয়েছে।

কীভাবে কাজ করে এই ১৫৫২৬০ হেল্পলাইন?

এই সুবিধাটি মূলত অনলাইন জালিয়াতি সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করার জন্য জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং রিয়েল-টাইম সমাধান প্রদানের চেষ্টা করে। এটি ব্যাংক ও পুলিশ – উভয়কেই ক্ষমতায়িত করে। এক্ষেত্রে জালিয়াতির শিকার বা ভুক্তভোগীরা, রাজ্য পুলিশ পরিচালিত হেল্পলাইনে কল করলে, একজন পুলিশ কর্মী, অপারেটর হিসেবে ঘটনায় লেনদেনের বিবরণ এবং কলারের ব্যক্তিগত তথ্য নোট করে এবং সিটিজেন ফিনান্সিয়াল সাইবার ফ্রডস রিপোর্টিং ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে তা টিকিটের আকারে জমা দেয়। এরপরে সেই টিকিট – ব্যাঙ্ক, ওয়ালেট বা ব্যবসায়ীদের কাছে যায়, যেখানে ভুক্তভোগীরা এসএমএসের মাধ্যমে অভিযোগের একটি অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর পাবেন।

টিকিটটি তৈরি হওয়ার পর, অভিযোগকারী অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর ব্যবহার করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে (cybercrime.gov.in) জালিয়াতির সম্পূর্ণ বিবরণ জমা দিতে পারবেন। এদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তার ড্যাশবোর্ডে টিকিটটি দেখতে পাওয়ায় ভুয়ো লেনদেন আটকে দেবে, যার ফলে জালিয়াতরা টাকা তুলতে পারবেনা। তবে যদি কোনো কারণে প্রতারণাপূর্ণ অর্থ অন্য ব্যাংকে ট্রান্সফার হয়ে যায়, তাহলে উক্ত অভিযোগের টিকিট সেই পরবর্তী ব্যাঙ্কে পৌঁছবে। অর্থাৎ, প্রতারণাকারীদের থেকে অভিযোগকারীর টাকা রক্ষা না পাওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি হবে।

কেন্দ্রের মতে, এই হেল্পলাইনটি ইতিমধ্যেই সাইবার জালিয়াতির ঘটনায় ১.৮৫ কোটি টাকারও বেশি অর্থ সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥