5G নয়, 6G নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ শুরু করতে জুলাইয়ে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ Huawei-র

Avatar

Published on:

প্রায় প্রতিমাসে গন্ডায় গন্ডায় 5G সাপোর্ট যুক্ত স্মার্টফোন লঞ্চ হলেও, পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম পরিষেবা ঠিক কবে ভারতে সবার জন্য উপলভ্য হবে – সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ এখনো পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি উন্নত দেশেই 5G নেটওয়ার্ক লাইভ হয়েছে এবং ভারতের মত দেশগুলি এটির বিকাশের কাজ করছে। সেক্ষেত্রে 5G নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহ চরমে পৌঁছেছে বটে, কিন্তু আধুনিক সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলা কিছু সংস্থা শুধু এতেই থেমে না থেকে আরো বেশি কিছু ভাবার চেষ্টা করছে! রিপোর্ট অনুযায়ী, Huawei-এর মত টেক জায়ান্ট সংস্থাগুলি এখনই কাজ শুরু করেছে 6G নেটওয়ার্ক নিয়ে।

আসলে, সম্প্রতি Huawei-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত চ্যাং’আন শুমজান (Chang’an Shumajun) নামের এক চীনা টেক ব্লগার জানিয়েছেন যে, সংস্থাটি এই বছরের জুলাইয়ে অন্য দুটি চীনা সংস্থার অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে দুটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই স্যাটেলাইটগুলি, Huawei কর্তৃক বিকশিত 6G নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির পর্যবেক্ষণ করবে বলে ওই ব্লগারের অভিমত।

সেক্ষেত্রে, এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সাথে সাথেই হুয়াওয়ে (Huawei) আসন্ন 6G প্রযুক্তির জন্য বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও বিকাশের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অর্জন করবে এবং নেটওয়ার্কিং বা স্যুইচিংয়ের মতো চীনের মূল প্রযুক্তিগুলির ব্যাপারেও এটি বিশেষ তাৎপর্য রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এই গোটা বিষয়টি হুয়াওয়ে, চীন মোবাইল এবং একটি জাতীয় মহাকাশ ফার্মের যৌথ প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হবে।

এদিকে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান শি জিজুন (Xu Zhijun) এই মাসের গোড়ার দিকেই ঘোষণা করেছিলেন যে, জনপ্রিয় কোম্পানিটি ২০৩০ সালে তার 6G নেটওয়ার্ক চালু করবে এবং 6G প্রযুক্তি আসলে কী, তা গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে বোঝাতে শীঘ্রই 6G সম্পর্কিত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। তাই সাম্প্রতিক রিপোর্টটি সবার চোখে পড়ার পর, এই বিষয়ে আগ্রহ বা জল্পনা আরো বাড়বে – এমনটা অবশ্যম্ভাবী!

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, বিশ্বের বহু বিশেষজ্ঞই ইতিমধ্যে বলেছেন যে, 6G প্রযুক্তি, 5G-এর থেকেও ৫০ গুণ শক্তিশালী হবে। আবার সিগন্যাল প্রেরণের ক্ষেত্রে বেস স্টেশনের ওপর নির্ভরশীল 5G নেটওয়ার্ক নির্মাণের সাথে তুলনা করে বলা হচ্ছে, 6G নেটওয়ার্কগুলি উচ্চতর ফ্রিকোয়েন্সি সরবরাহ করবে এবং এগুলি বেস স্টেশনের পরিবর্তে যোগাযোগের জন্য উপগ্রহ ব্যবহার করবে।

যাইহোক, এই নতুন পদক্ষেপের জেরে সফল হলে Huawei যে বিশ্ববাজারে কোণঠাসা অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবে এমনটা আশা করাই যায়। তবে জানিয়ে রাখি দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্র্যান্ড Samsung-ও পরবর্তী প্রজন্মের এই নেটওয়ার্কের ওপর কাজ করার পরিকল্পনা করছে বলে আগেই শোনা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে এই জল্পনা সত্যি হলে আগামী বছরগুলিতে Huawei এবং Samsung-এর মধ্যে এই বিষয়ে দৃঢ় প্রতিযোগিতা দেখা যেতে পারে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥