মোবাইল নির্মাতা দেশ হিসাবে শীর্ষে উঠে আসবে ভারত, কেন্দ্রের সাহায্যে রোডম্যাপ তৈরী ICEA এর

Avatar

Published on:

ইলেকট্রনিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক হিসাবে সারা বিশ্বকেই এই মুহূর্তে শাসন করছে চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম সহ বেশ কয়েকটি দেশ। কিন্তু বহু লোকের দেশ হলেও ভারত এই ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। তবে এবার ভারতকেও ইলেকট্রনিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক হিসাবে তুলে আনতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি ভারতে ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ভারত সরকার তিনটি নতুন স্কিম ঘোষণা করেছে।

এই স্কিম তিনটি হল, প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ (PIL), স্কিম ফর প্রমোশন অফ ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট অ্যান্ড সেমিকন্ডাক্টর (SPECE) এবং মডিফায়েড ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ক্লাস্টার স্কিম (EMC 2.0)। আর এই স্কিমগুলির যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তাই ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (ICEA) একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ বা পরিকল্পনা তৈরি করেছে, যার লক্ষ্য ভারতকে শীর্ষস্থানীয় বিশ্বব্যাপী মোবাইল প্রস্তুতকারক হিসেবে গড়ে তোলা। ICEA জানিয়েছে ২০২৫ পর্যন্ত মেড ইন ইন্ডিয়া মোবাইলের এক্সপোর্ট ১০০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। আবার মোবাইল পার্টস এর এক্সপোর্ট প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

রিপোর্ট অনুসারে, এক সময় চীন ও ভিয়েতনাম ১৯৮ টি দেশে মোবাইল পাঠাতো। তবে এখন ভারতও এই দলে যোগ দিয়েছে। তিন বিলিয়ন ডলারের মোবাইল রফতানি করে চীন, ভিয়েতনামের পরেই ভারত এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে। তবে এখন ভারতের লক্ষ ভিয়েতনাম কে টপকে দ্বিতীয় স্থানে আসার। আইসিইএর চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহিন্দ্রো এই কথা জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে, প্রত্যাশা করা হচ্ছে ভারত শীঘ্রই মোবাইল রফতানির ক্ষেত্রে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে।

পূর্বে উল্লিখিত স্কিমগুলির তিনটি ধাপ রয়েছে –

১. রিস্টার্ট, যার মধ্যে মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের জন্য উৎসাহদায়ক প্রকল্প চালু করা, উত্পাদন পুনরায় আরম্ভ, রিটেল ও রফতানি সুবিধা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।

২. রিস্টোর, যার মধ্যে PLI বাস্তবায়ন করা এবং উত্পাদন ক্ষমতা ১০০০% ফিরিয়ে আনা হবে।

৩. রিসার্জেন্স, এর মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করা এবং ভারতকে শীর্ষস্থানীয় মোবাইল উৎপাদন ও রফতানির কেন্দ্র হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা।

ICEA এর চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহিন্দ্রোর বিবৃতি থেকে জানা যায়, PIL স্কিমের প্রভাব অর্থবছর ২০২০-২১ সালের মধ্যে দৃশ্যমান হবে। করোনা পরিস্থিতি কাটলে বা লকডাউন উঠলেই ভারতের ট্যাক্স নীতিগুলিতে পুনর্বিবেচনা করে, অনুকূল পরিবেশে মোবাইল উৎপাদন শুরু হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥