Bizzare: প্রযুক্তির মাধ্যমে বান্ধবীর গতিবিধি নজরে রাখার অভিনব প্রয়াস! কিন্তু শেষরক্ষা হল না, গ্রেফতার যুবক

Avatar

Published on:

যত দিন যাচ্ছে, অপরাধমূলক কাজ করার জন্য ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং ডিভাইসের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো কার্যসিদ্ধির জন্য নানারকম কৌশল অবলম্বন করে গোপনে কারোর উপর নজর রাখার ঘটনা সিনেমায় তো আমরা হামেশাই দেখে থাকি, তবে এখন বাস্তবেও প্রতিনিয়তই এই ধরনের খবর সামনে আসছে। আর এই জাতীয় ঘটনা রুখতে নামিদামি সংস্থাগুলিকেও নানা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে। যেমন, স্নুপিং ডিভাইস হিসেবে বা অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার অতিরিক্ত স্তর তৈরি করতে Apple-কে তার AirTag আপডেট করতে হয়েছিল। কিন্তু যত যা-ই করা হোক না কেন, এমন কিছু মানুষ আছে যাদের অপরাধ করা থেকে কিছুতেই দমিয়ে রাখা যায় না। সেক্ষেত্রে টেনেসির (Tennessee) ন্যাশভিলের এমনই এক ব্যক্তি আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল আলোচ্য বিষয়, যাকে সম্প্রতি Apple Watch (অ্যাপল ওয়াচ) ব্যবহার করে তার বান্ধবীকে ট্র্যাক করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসুন, ঘটনাটি সম্পর্কে একটু বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যাশভিলের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী লরেন্স ওয়েলচ সম্প্রতি তার বান্ধবীর লোকেশন ট্র্যাক করার জন্য তার গাড়ির চাকায় একটি অ্যাপল ওয়াচ অ্যাটাচ করেছিলেন এবং তারপরে নিজের মোবাইলে একটি ট্র্যাকিং অ্যাপের মাধ্যমে বান্ধবীর উপর নজর রাখার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। মূলত একটি বৈদ্যুতিন ট্র্যাকিং ডিভাইসকে সম্পূর্ণভাবে একজনের অজান্তে তার গাড়িতে অ্যাটাচ করার জন্যই ওয়েলচকে অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ধরনের কাজকর্ম দেখে ওয়েলচ যে খুব একটা সুবিধের লোক নয়, তা তো এমনিতেই বোঝা যাচ্ছে। আবার তার বান্ধবীও নিজমুখে সেকথা স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছেন।

ওয়েলচের বান্ধবী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ওয়েলচ তাকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। তাই নিজের সুরক্ষার জন্য দাবি করে তিনি একটি ফ্যামিলি সেফটি সেন্টারে যান এবং ওই মহিলার দাবির ভিত্তিতে ওয়েলচের নামও এই ঘটনার সাথে জড়িয়ে যায়। ভিকটিম আরও উল্লেখ করেছেন যে, তিনি এবং ওয়েলচ অতীতে একে অপরের গতিবিধি ট্র্যাক করার জন্য ‘Life360’ ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু যখন তিনি ফ্যামিলি সেফটি সেন্টারে যান, তখন তিনি সেটিকে টার্ন অফ করে দেন।

এরপর সেফটি সেন্টারের কর্মকর্তারা একদিন ওয়েলচকে ভিকটিমের গাড়ির চাকার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখেন, যার ফলে তাদের মনে প্রবল সন্দেহের উদ্রেক হয়। এরপর কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্ত করে ওই মহিলার গাড়ির চাকায় লাগানো অ্যাপল ওয়াচটিকে আবিষ্কার করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর ওয়েলচ স্বীকারও করেন যে এটি তিনিই তার বান্ধবীর গাড়ির চাকায় লাগিয়েছেন যাতে অনায়াসেই তাকে সর্বক্ষণ ট্র্যাক করা যায়।

উল্লেখ্য যে, এরকম চাঞ্চল্যকর ঘটনা যে এই প্রথম ঘটল তা কিন্তু নয়, এর আগেও এরকম অজস্র ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। বিশেষত অ্যাপলের ডিভাইস ব্যবহার করে অন্যের উপর নজর রাখার ঘটনা দিন কে দিন বেড়েই চলেছে৷ ফলে ভবিষ্যতে অ্যাপলের কোনো গ্যাজেটকে কাজে লাগিয়ে যাতে কেউ কোনো অপরাধমূলক কাজ না করতে পারে, সেজন্য সংস্থাটি ভবিষ্যতে কোনো জোরালো পদক্ষেপ নেবে বলেই আশা করা যায়।

সঙ্গে থাকুন ➥