Driving Licence: গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়া এখন আরও সহজ, জুলাই থেকে নতুন নিয়ম

Avatar

Published on:

লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে এই ভেবে আরটিও বা রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে (RTO) যেতে মন চাইছে না? ফলে ড্রাইভিং লাইসেন্সটিও আর হাতে পাওয়া হচ্ছে না। আপনার অবস্থাও যদি এরকম হয়, তবে আপনার জন্য রয়েছে একটি সুখবর! ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় রদবদল আনতে চলেছে মোদি সরকার। কি সেই বদল শুনবেন? এবার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আর আরটিও অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে লাইসেন্স হাতে পাওয়ার মতো ঝক্কি সম্পূর্ণ এড়ানো যাবে। এই নয়া নিয়ম আগাম ১ জুলাই থেকে সমগ্র ভারতে কার্যকর হতে চলেছে। একবার এই নিয়ম লাগু হয়ে গেলে, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া হয়ে যাবে বাঁ হাতের খেল।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার উপায় কী?

আমাদের দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স যে কেবল গাড়ি চালাতে প্রয়োজন পড়ে তেমন নয়, সেটি পরিচয় পত্র হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি সহজতর করে কেন্দ্র জানিয়েছে সরকার দ্বারা স্বীকৃত স্থানীয় ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ড্রাইভিংয়ের পরীক্ষা দেওয়া যাবে। উত্তীর্ণ হলে দেওয়া হবে একটি শংসাপত্র। যা দেখিয়ে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করা যাবে। নতুন লাইসেন্সের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। তারপর সেটি পুনর্নবীকরণ করতে হবে।

এদিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার জন্য একটি কোর্সের রূপরেখা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক। লাইট মোটর ভেহিকেল (LMV) বা ছোট চারচাকা গাড়ির প্রশিক্ষণের জন্য নিদেনপক্ষে ২৯ ঘন্টার প্রশিক্ষণ পর্ব থাকতেই হবে। যেখানে ২১ ঘন্টা শহর-গ্রামের রাস্তা, হাইওয়েতে হাতে কলমে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আবার গাড়ি পার্কিং ও রিভার্স গিয়ারে গাড়ি চালাতে শেখাতে হবে। বাকি ৮ ঘন্টা গাড়ি চালানোর খুঁটিনাটি থিওরি আকারে পড়ানো হবে।

কোন কোন নথি লাগবে?

ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে বয়সের প্রমাণপত্র পেশ করা যাবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, জন্মের শংসাপত্র, পাসপোর্ট অথবা কর্মক্ষেত্রের আই কার্ড। অন্যদিকে ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা যাবে আধার কার্ড, বাড়ি ভাড়ার এগ্রিমেন্ট, রেশন কার্ড, পাসপোর্ট, ইলেকট্রিক বিল এবং বীমার শংসাপত্র। সাথে প্রয়োজন একটি পাসপোর্ট সাইজ ফটোগ্রাফ, মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনের ৪ নং, ১ এবং ১এ নং ফর্ম।

প্রসঙ্গত, এই সিদ্ধান্তের ফলে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির গুরুত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি আরটিও অফিসের কাঁধ থেকে চাপ যে অনেকটাই হালকা হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সঙ্গে থাকুন ➥