Cyber Fraud: সাবধান, অনলাইনে মোবাইল কেনাবেচা নিয়ে চলছে জালিয়াতি

Avatar

Published on:

করোনাকালীন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নিয়মিতভাবে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধ। সম্প্রতি ইউরোপীয় পুলিশ বিষয়টি সম্পর্কে নেটিজেনদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। আসলে অতিমারির সংক্রমণ রুখতে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশ লকডাউনের নীতি অনুসরণ করতে বাধ্য হয়। এর ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকুরিজীবীদের কপালে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বিধান জোটে। অন্যদিকে সংক্রমণের ভয়ে বাকিরাও ঘরে বসে দিন কাটাতে বাধ্য হন। এমন অবস্থার ফায়দা তুলতে পূর্ণমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে সাইবার অপরাধীরা। তাই বর্তমানে সাইবার প্রতারণার সংখ্যায় ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। মূলত অনলাইন কেনাবেচাকে কেন্দ্র করেই এই ধরনের প্রতারণা ঘটছে বলে ইউরোপীয় পুলিশের মন্তব্য।

সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত বার্ষিক রিপোর্টে কি বললো EuroPol?

সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত তাদের বার্ষিক রিপোর্টে Europol প্রতারণাকারীদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপের কথা তুলে ধরেছে। দেখা গেছে প্যান্ডেমিকের সময় প্রকাশ্যে আসা বহু ই-কমার্স সংস্থাকে নিশানা করে জালিয়াতেরা অনায়াসে মানুষ ঠকাচ্ছে। কখনো আবার ডেলিভারি সংস্থার পরিচয়ে তারা ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করছে। তাছাড়া মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে লোক ঠকাতেও তারা প্রশ্নাতীত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, পণ্য বিক্রির নামে অপরাধীরা ডেলিভারির আগেই ক্রেতাদের থেকে অর্থ আদায় করছে বলে উপরোক্ত রিপোর্ট থেকে প্রকাশ পেয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতারকেরা বিভিন্ন অনলাইন সংস্থার দুর্বল নিরাপত্তাকে কাজে লাগাচ্ছে। অনেক সময় ডেলিভারি সম্পর্কে আপডেট প্রদানের কথা বলে তারা ক্রেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হস্তগত করছে বলেও অভিযোগ। উল্লেখ্য, মোবাইল কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে সবথেকে বেশি পরিমাণ প্রতারণার ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে বলে রিপোর্টের দাবী।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এদিকে অবৈধ কারবারগুলি মূল ডার্ক ওয়েব থেকেই পরিচালিত হয়। এটি দাগী সাইবার অপরাধীদের মুক্তক্ষেত্র। এখানে বিভিন্ন ধরনের বেআইনি পণ্য কেনাবেচার কাজ চলে। বর্তমানে ডার্ক ওয়েবে অর্থ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে Bitcoin এবং Monero -র মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥