কাগজপত্র দেখা থেকে সার্ভিসিং, পুরনো গাড়ি কেনা চূড়ান্ত করার আগে প্রথমেই যে চারটি বিষয়ে নজর দেবেন

Avatar

Published on:

things-you-need-to-do-once-you-have-bought-a-used-car

সম্বন্ধ করে বিয়েই হোক কিংবা গাড়ি কেনা, ঝক্কি কোনোটাতেই কম নয়। বিভিন্ন সংস্থার গাড়ির তালিকা ঘেঁটে পছন্দের গাড়ি খুঁজে বের করা ও তারপর সমস্ত কাগজপত্র বুঝে নিয়ে শেষে অর্থ প্রদান সংক্রান্ত জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে হাতে মেলে নতুন গাড়ির চাবি। আর গাড়ি যদি হয় পুরনো তবে তো আর কোনো কথাই নেই। ঝামেলা আরও বেশি। পুরনো গাড়িটির বর্তমান অবস্থা পরীক্ষা করা থেকে শুরু করে তার সমস্ত কাগজপত্র সবকিছু খুঁটিয়ে দেখা প্রয়োজন। তারপর তো রয়েছে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাম স্থানান্তরকরণ। সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনতে গেলে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হয় সে সংক্রান্ত প্রচূর প্রতিবেদন আমরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছি। আর এবার আপনাকে বলব যে হাত-ফেরতা মডেলটি আপনি পছন্দ করেছেন সেটি কেনা চূড়ান্ত জন্য এবার কী কী করণীয়?

যখনই আপনি আপনার পছন্দের সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িটি হাতে পেলেন আপনার প্রথম কর্তব্য হলো গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র ভালো মতো বুঝে নেওয়া। রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, পলিউশন সার্টিফিকেট এমনকি গাড়ির পূর্ববর্তী মালিক যদি ব্যাংক থেকে ঋণের মাধ্যমে তা কেনেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই “নো অবজেকশন সার্টিফিকেট” দেখে নেবেন, নচেৎ ঋণের বাকি টাকা কিন্তু আপনাকে বহন করতে হবে। এর পাশাপাশি গাড়ির ইন্সুরেন্সের কাগজটি দেখতে ভুলবেন না। আপনার পছন্দের এই মডেলটি ইতিমধ্যেই কোনো দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কিনা তা বোঝা যাবে গাড়ির ইন্সুরেন্সের কাগজ থেকেই। এই সমস্ত কাগজগুলি গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের কাজ সহজতর করতে সাহায্য করবে।

এর পরবর্তী ধাপ হল গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তন করা। এটা মূলত আইনি প্রক্রিয়ার অন্তর্গত। তবে এই গাড়িটির যদি পূর্ববর্তী কোনো মালিকানা থাকে তবে অবশ্যই এর বর্তমান মালিকের থেকে গাড়ি বিক্রির ব্যাপারে “নো অবজেকশন সার্টিফিকেট” সংগ্রহ করে রাখবেন। আর এই সমস্ত কাগজপত্র রিজনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে (RTO) জমা করলেই আপনি নিশ্চিন্ত। এমনকি এই গাড়িটির ইন্সুরেন্সের কাজেও আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। ভবিষ্যতে যদি পুনরায় আপনি এই গাড়িটি বিক্রি করতে চান সেক্ষেত্রেও বৈধ ইন্সুরেন্সের কাগজ প্রয়োজন হয়।

এরপর যখনই রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তনের কাজ সম্পন্ন হবে তখন আপনার এই শখের গাড়িটির বীমা করানোর কাজে অগ্রসর হওয়া যাবে। তবে RC তে নাম পরিবর্তন করার পরেও যদি ইন্সুরেন্স এর পলিসির কাগজে পূর্ববর্তী মালিকের নাম নথিবদ্ধ থাকে সেক্ষেত্রে তা কিন্তু কোন কাজেই আসবে না। তখন গাড়ির ইন্সুরেন্স প্রণেতা সংস্থার কাছে গিয়ে বীমার কাগজটি আপনার নামে পরিবর্তন করাতে হবে। তবে পুরনো সংস্থা বাদ দিয়ে নতুন সংস্থার থেকে করালে এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পরিশেষে নতুন কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িটি কোনো দক্ষ মেকানিক কিংবা সংস্থার কাছ থেকে সার্ভিস করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। হয়তো পূর্ববর্তী গাড়ির মালিক বিক্রি করার পূর্বে গাড়িটির যথাযথ সার্ভিস করানোর ব্যাপারে কার্পণ্য করেছেন। তাই গাড়ি চড়া শুরুর আগে ইঞ্জিন অয়েল কিংবা ফিল্টার পরিবর্তনের কাজগুলি করিয়ে নেওয়াটাই ভালো। এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন ধরনের ব্যবহৃত গাড়ি কেবিন নতুন করে ব্যবহারের আগে ভালোমতো পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করে নেওয়াই শ্রেয়।

সঙ্গে থাকুন ➥