Wi-Fi 6E প্রযুক্তি কী, এর সুবিধা কী, ভারতীয়রা এই প্রযুক্তি কবে ব্যবহার করতে পারবে জেনে নিন

Updated on:

আধুনিক প্রযুক্তির এই জমানায় Wi-Fi 6 (ওয়াইফাই ৬) বেশ সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল অনেক মিড রেঞ্জ ডিভাইসেই এই কানেক্টিভিটি অপশন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এখন কিছু কোম্পানি তাদের হাই-এন্ড স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে Wi-Fi 6 প্রযুক্তির আপগ্রেডেড ভার্সন Wi-Fi 6E (ওয়াইফাই ৬ই) ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এমনকি, অনেক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে পরবর্তী iPhone 14 (আইফোন ১৪) সিরিজে Wi-Fi 6E থাকবে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা Wi-Fi 6E প্রযুক্তি কী এবং এর সুবিধা কী – সে বিষয়ে বিস্তারিত বলব।

Wi-Fi 6E কী?

ওয়াইফাই ৬ই হল ওয়াইফাই ৬ প্রযুক্তির একটি ডিজাইনড এক্সটেনশন, যার সাহায্যে ইউজাররা হাইস্পিড ইন্টারনেট পাবেন। কারণ এই প্রযুক্তি সমর্থিত ডিভাইসটি ১৪টি অতিরিক্ত ৮০ মেগাহার্টজ চ্যানেল এবং ৭টি অতিরিক্ত ১৬০ মেগাহার্টজ চ্যানেল সমর্থন করে। তাছাড়া এটি স্পেকট্রাম নেটওয়ার্ক ডিজাইনকেও সরল করে তোলে।

Wi-Fi 6E প্রযুক্তির সুবিধা

সুবিধার কথা বললে, এই প্রযুক্তির সাথে ইউজাররা অত্যন্ত উন্নত এবং হাইস্পিড যুক্ত ওয়াইফাই কানেকশন উপভোগ করতে পারেন। ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ২.৪ গিগাহার্টজ, ৫ গিগাহার্টজ এবং ৬ গিগাহার্টজ ব্যান্ডের মধ্যে বেছে নিতে পারবেন। এটি অধিক কানেকশনযুক্ত জায়গায় ব্যবহারকারীদের উচ্চ গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করবে এবং ওয়াই-ফাই আরও ভাল কাজ করবে। স্পেসিফিকেশনের কথা বললে, ৫ গিগাহার্টজ এবং ৬ গিগাহার্টজ উভয়ই ৯.৬ গিগাহার্টজের সমান হাই স্পিড সরবরাহ করে, তবে সেই গতি পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। যাইহোক, আপনি যদি একটি সাধারণ রাউটার দিয়ে কম স্পিড পান, তবে সম্ভবত ওয়াই-ফাই ৬ই সমর্থনসহ সমস্ত ডিভাইস একই স্পিডে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। উল্লেখ্য, ৬ গিগাহার্টজ কে ওয়াই-ফাই ৬ই বলা যেতে পারে।

ভারতীয়দের Wi-Fi 6E ব্যবহারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে

এই মুহূর্তে দেশীয় বাজারে ওয়াইফাই ৬ই সমর্থিত ডিভাইস উপলব্ধ নয়। আশা করা যায় আগামী বছরে ভারতে এই প্রযুক্তি চালু হবে। ততদিন পর্যন্ত ইউজারদের প্রযুক্তিটি ব্যবহারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥