নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক! মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতে দারস্থ Xiaomi

Avatar

Published on:

চীনের সামরিক বাহিনীর সাথে যোগসাজশ থাকার অভিযোগ তুলে কয়েক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের নয়টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। সেই তালিকায় নাম ছিল জনপ্রিয় স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমির। যদিও Xiaomi সেইসময়ই নিজেদের ওপর ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিল, তারা কোনোভাবেই চাইনিজ মিলিটারির সাথে জড়িত নয়। সম্প্রতি আমেরিকাতে ক্ষমতার পালাবদল হলেও নিষেধাজ্ঞাটি তোলা হয়নি। ফলে শাওমি এবার মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য Xiaomi আদালতে আবেদনপত্র জমা দিয়ে জানিয়েছে যে, যদি নিষেধাজ্ঞা এভাবে চলতে থাকে তাহলে “সংস্থা তীব্র ও অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে”‘। শাওমির আরও অভিযোগ, এই নিষেধাজ্ঞা বেআইনি এবং সংবিধানের পরিপন্থী। কালো তালিকাভুক্ত করার যথাযথ কারণ যে মার্কিন প্রশাসন ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেই বিষয়টিও শাওমি উল্লেখ করতে ভোলেনি। শাওমি আরও বলেছে যে মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞার কোনও নোটিশ প্রদান করেনি এবং আদালতে এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তারা মার্কিন সংবিধানের পঞ্চম অ্যামেন্ডমেন্ট লঙ্ঘন করেছে।

শাওমি, পূর্বে, বিবৃতি জারি করে বলেছিল তারা সমস্ত আইনকানুন মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করে। শাওমি চীনা সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন, নিয়ন্ত্রিত বা অনুমোদিত নয়, এবং এনডিএএ-র সংজ্ঞায়িত তারা কোনো কমিউনিস্ট চাইনিজ কোম্পানিও নয়। শাওমির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিজের এবং শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় সংস্থা যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুর দিকে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ শাওমি সহ চীনের আরও ন’টি সংস্থাকে দেশের নিরাপত্তার খাতিরে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যা বলবৎ হওয়ার পর মার্কিন বিনিয়োগকারীরা আর এই ব্ল্যাক লিস্টেড কোম্পানিগুলিতে লগ্নি করতে পারবে না। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিলেও শাওমি বা অন্যান্য সংস্থাগুলি চীনা সামরিক বাহিনীর সাথে জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ মার্কিন প্রশাসনকে দিতে দেখা যায় নি। যার ফলে বিষয়টি এবার আদালত পর্যন্ত গড়াল।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥