সস্তা গাড়ি ক্রেতাদের সুরক্ষায় জোর! নূন্যতম ৬টি এয়ার ব্যাগ দেওয়ার আবেদন নীতিন গডকরি'র
কথায় আছে ‘দুর্ঘটনা কখনো বলে কয়ে আসে না’। তবে শুধু কথাতেই নয়, বাস্তবেও তা সত্যি। তাই দুর্ঘটনার কবল থেকে বাঁচতে ছোট গাড়ি ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা বৃদ্ধির দিকে এবার জোর দেওয়ার কথা বললেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গডকরি। এই মর্মে তিনি দেশের সকল চার চাকার গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে বিষয়টি নজরে রাখতে বলেছেন। এবার থেকে যাতে নিম্ন মধ্যবিত্তরা তাদের কেনা ছোট চার চাকার গাড়িতেও পর্যাপ্ত এয়ার ব্যাগ (Airbags) এর সুবিধা পান সে বিষয়েই মুখ খুলেছেন মন্ত্রী।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই -কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে গডকরি বলেছেন, “আমাদের দেশের মধ্যবিত্তদের দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষার অধিকার রয়েছে।” তাই এবার থেকে সমস্ত ভ্যারিয়েন্ট এবং সেগমেন্টের ছোট চার চাকার গাড়িতেও যাতে কমপক্ষে ৬টা এয়ার ব্যাগ এর সুবিধা মেলে সে বিষয়ে তিনি দেশের গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। এতে অবশ্য গাড়ির দাম কমপক্ষে তিন থেকে চার হাজার টাকা বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
“ধনী ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য গাড়িগুলিতে আটটা এয়ার ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মধ্যবিত্তদের ব্যবহারের জন্য সস্তার গাড়িগুলিতে দেওয়া হচ্ছে মাত্র দুই থেকে তিনটি এয়ার ব্যাগ। কীভাবে সম্ভব এটা?” গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির প্রতি তিনি এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। কিন্তু গাড়ি প্রস্তুতের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের উচ্চ কর, কঠোরতর সুরক্ষাবিধি পালন এবং এমিশনের যে নিয়মগুলি রয়েছে তা মেনে চলতে গিয়ে গাড়ির দাম আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। যদিও প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির উদ্বেগের এই কারণকে মান্যতা দিতে নারাজ কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রকের তরফে এই বছরের জুনে সমস্ত পুরানো গাড়িতে ডুয়েল ফ্রন্ট এয়ার ব্যাগ স্থাপনের সময়সীমা চার মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। দেশের করোনা অতিমারির কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সমস্ত নতুন গাড়ির মডেলে এই নিয়ম গত ১লা এপ্রিল থেকেই জারি হয়ে গেছে। তবে পুরানো গাড়িগুলির ক্ষেত্রে কেবলমাত্র চালকের সিটের এয়ার ব্যাগ স্থাপনের বিষয়টিকে আবশ্যক করা হয়েছে।