Tesla চীনে তৈরি গাড়ি দিয়েই বাজিমাত করল, নতুন কারখানা খোলার পর বিক্রিতে নয়া রেকর্ড
আমেরিকার পাশাপাশি এখন চীন হয়ে উঠেছে প্রখ্যাত মার্কিন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা (Tesla)-র কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার। ২০১৯-এ সাংহাইয়ে সে দেশে নতুন কারখানা খুলেছিল ইলন মাস্কের সংস্থা। এক বছর না ঘুরতেই কোভিডের প্রকোপ৷ আবার হালে সংক্রমণ বাড়ায় কঠোর লকডাউন। তবে সে সব কাটিয়ে এখন ছন্দে ফিরছে আড়াই কোটি জনসংখ্যার ওই মহানগর। সাংহাইয়ে উৎপাদন কেন্দ্র চালু করার পর এখনও পর্যন্ত এক মাসে তাদের সর্বাধিক ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির কৃতিত্ব অর্জন করল টেসলা।
এমনিতেই চীনের মত প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত দেশে স্থানীয় গাড়ি সংস্থাগুলির সঙ্গে টেক্কা নিতে যথেষ্ট কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে টেসলাকে। তাও সমানে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। জুনে চীনে তৈরি ৭৮,৯০৬টি গাড়ি বিক্রি করেছে তারা। আর ওই সময়ে ৯৬৮টি পাড়ি দিয়েছে বিদেশে। তুলনাস্বরূপ, গত মে মাসে সংস্থার চীনে বিক্রিত গাড়ির সংখ্যা ছিল ৩২,১৬৫। আর রপ্তানি করা হয়েছিল মোট ২২,৩৪০টি গাড়ি।
এপ্রিল-জুন সময়কালে সাংহাইয়ে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ায় সরকারি বিধিনিষেধের ফলে টেসলাকে যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। চীনে জিরো- কোভিড লকডাউন নীতির জন্য সেই ত্রৈমাসিকে টেসলার গাড়ি বিক্রিতে প্রভাব পড়তে পারে সেই আশঙ্কায় সংস্থার সিইও ইলন মাস্ক তার কর্মীদের আরো বেশি পরিশ্রমের আর্জি জানিয়েছিলেন। Tesla 3s ও Tesla Ys মডেলের গাড়ি নির্মাণকারী সাংহাইয়ের ওই কারখানা গত ১৯ এপ্রিল পুনরায় খুললেও, পুরোদমে উৎপাদন চালু করতে জুনের মাঝামাঝি সময় লেগে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০২২-এর প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ প্রথমার্ধে বিশ্বজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির নিরিখে শীর্ষস্থান খুইয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে টেসলা। আর প্রথম স্থানে উঠে এসেছে চীনা নির্মাতা বিওয়াইডি (BYD)। যারা জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ লাখ ৪১ হাজার ব্যাটারি চালিত গাড়ি বিক্রি করেছে। টেসলার থেকে প্রায় ৭৭ হাজার বেশি৷ আসলে চীনে করোনার বাড়বাড়ন্ত কম এমন জায়গায় বিওয়াইডি-র কারখানা থাকার কারণে বিধি-নিষেধের মুখে পড়তে হয়নি। ফলস্বরূপ উৎপাদন পুরোদমে চালিয়ে যাওয়া গিয়েছে। আর বিক্রিও হয়েছে বেশি।