বাজেটে সেরা ক্রুজার Bajaj Avenger 220, কেনার আগে যে সুবিধা ও অসুবিধার কথা মাথায় রাখবেন
সাধ্যের মধ্যে ক্রুজার বাইকের প্রসঙ্গ উঠলেই একবাক্যে উচ্চারিত হয় Bajaj Avenger 220 এর নাম। প্রতি মাসেই নিঃশব্দে বড় সংখ্যায় ক্রেতা টেনে বাজাজের অবস্থান পোক্ত করছে বাজারের এই "ছুপারুস্তাম"। এন্ট্রি লেভেল ক্রুজার হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয় এই বাইক। Kawasaki Eliminator এর ডিজাইন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০৫ এ প্রথম বাজারে আসে Avenger। বর্তমানে 220 Cruise ভ্যারিয়েন্টে বিক্রি হচ্ছে এটি। এখন দাম ১.৪১ লাখ টাকা। তবে ক্রুজার নেওয়ার ইচ্ছা কিন্তু বেশি বাজেট না থাকলেও তার প্রতিকার আছে। পুরনো গাড়ি কেনাবেচার দোকানে বাইকটির সেকেন্ড হ্যান্ড মডেল দরাদরি করে অর্ধেকের কম দামে পাওয়া সম্ভব। তবে সেটা বয়সের উপর নির্ভর করছে। হাতফেরতা Bajaj Avenger 220 কিনবেন বলে মনস্থির করে থাকলে দেখে নিন এর ভাল ও খারাপ দিকগুলি।
Bajaj Avenger 220 ভালো দিক
বাজার অ্যাভেঞ্জার ২২০ তার লুকস ও চিন্তাকর্ষক ডিজাইনের জন্য সবার প্রথমেই চোখে পড়বে। ক্লাসিক ডিজাইন থাকার কারণে পুরনো দিনের কথা স্মরণ করাবে আপনাকে এটি বাজারে উপলব্ধ অন্যান্য ক্রুজার বাইগুলির তুলনায় বেশ হালকা। তাই কমফোর্টেবল এবং পাওয়ারফুল কমিউটারের খোঁজ করছেন এমন নতুন রাইডারদের জন্য পারফেক্ট। এক দশক পেরিয়ে গেলেও বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০ এর গঠনগত পরিবর্তন খুব একটা হয়নি। তাই সহজেই যন্ত্রাংশ পাওয়া সম্ভব।
এমনকি বাইকটির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অত্যন্ত কম। আর বাজাজের সার্ভিস নেটওয়ার্ক যথেষ্ট উন্নত হওয়ার কারণে সার্ভিসিংয়ের ব্যাপারে আপনি একদম চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন। যে সকল ব্যক্তি কম বাজেটের শক্তিশালী ইঞ্জিন যুক্ত ক্রুজার কিনতে ইচ্ছুক তাদের জন্য বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০ অন্যতম ভালো অপশন। বাইকটির ১৯ নিউটন-মিটার টর্ক যুক্ত ইঞ্জিন ও যথেষ্ট লম্বা হুইলবেস থাকায় হাই-রোডে যথেষ্ট স্টেবিলিটি নিয়ে চলাচল করা সম্ভব। মোটামুটি ভাবে আট বছরের পুরনো একটি অ্যাভেঞ্জার ২২০ এর দাম ৩৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকার মধ্যে হওয়া উচিত বলে আমাদের ধারণা।
Bajaj Avenger 220 খারাপ দিক
বাজার অ্যাভেঞ্জার ২২০ এর এগজস্ট এবং বডির বিভিন্ন অংশে ক্রোম থাকার ফলে জায়গাগুলিতে সহজেই মরচে ধরে যায়। বাইকটির পিলিয়ন সিট ততটা আরামদায়ক নয়। সিটের উচ্চতা যথেষ্ট কম এবং ফরোয়ার্ড সেট ফুটপেগ থাকার কারণে কয়েকদিন সময় লাগবে এই বাইকের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে।
পাশাপাশি বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০ এর ব্রেকিং সিস্টেম খুব একটা শক্তিশালী নয়। আজকের দিনেও পিছনের চাকায় ড্রাম ব্রেকের ব্যবহার করা হচ্ছে। সামনে ডিস্ক ব্রেক স্ট্যান্ডার্ড থাকলেও রিয়ার ডিস্ক অপশনাল হিসাবে রাখেনি বাজাজ। আবার বাইকটির পুরনো সংস্করণে ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম উপলব্ধ নয়। উপরন্ত বাইকটির লম্বা হুইলবেস যেমন এর ভালো দিক ঠিক তেমনি খারাপ দিকেও বটে। প্রচন্ড ব্যস্ত ট্রাফিকের মধ্যে দিয়ে শর্ট অ্যাঙ্গেলে বাইকটি চালানো যথেষ্ট কষ্টকর।
তাছাড়াও এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ভারতীয় রাস্তার তুলনায় বেশ কম। চিরাচরিত ক্রুজার সেগমেন্টের বাইকগুলোর মত টর্কপ্রধান ইঞ্জিন এখানে অনুপস্থিত। তবে পরিশেষে এটুকু বলা যায় যে দামের সঙ্গে যথার্থ গুণমান বজায় রেখে তৈরি বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০ ক্রুজ তার নিজের জায়গায় সেরা।