AMOLED ডিসপ্লে হতে পারে এই 4 মাথাব্যাথার কারণ, Smartphone ব্যবহারের আগে না জানলে লস!

Avatar

Published on:

Amoled Display 4 Disadvantage Check

আজকালকার দিনে বাজারে বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই AMOLED ডিসপ্লে দেখা যাচ্ছে, এমনকি বাজেট রেঞ্জের ফোনেও অনেক ক্রেতা এই আধুনিক স্ক্রিন ব্যবহার করতে পারছেন। কিন্তু জানেন কি ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন এই AMOLED ডিসপ্লেরও কিছু খামতি আছে, যেগুলি ফোন কেনার আগে না জেনে নিলে পরে অস্বস্তি হবে। হ্যাঁ, আপনি যদি সদ্য সদ্য এই ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করতে শুরু করেন বা নতুন হ্যান্ডসেট কেনার কথা ভাবেন, তাহলে কিছু বিষয় মাথায় গেঁথে নিন – যাতে করে আফসোসের অবকাশ থাকবেনা!

ফোনে AMOLED ডিসপ্লে থাকলে হতে পারে এই চার ‘ক্ষতি’!

১. ব্যাটারি খরচ বাড়বে: অ্যামোলেড ডিসপ্লের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল যে, এটি প্রচুর ব্যাটারি খরচ করে। এর কারণে আপনাকে বারবার স্মার্টফোন চার্জ করতে হতে পারে। আর এই জন্য সাধারণ ব্যবহার তো বটেই, গেমিং করার সময়ও অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে।

২. ডিসপ্লে লাইফে প্রভাব: অ্যামোলেড প্যানেল থেকে ডিসপ্লে লাইফ নিয়েও সমস্যা হয়। বেশ কিছু সময় আগেই OnePlus স্মার্টফোন ইউজাররা অভিযোগ করেছিলেন যে, তাদের ক্রমাগত ব্যবহারের কারণে ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা কমে গিয়েছিল।

৩. রোদে সমস্যা: সূর্যালোকের কারণে অ্যামোলেড ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস হয়ে যায়, যা এর একটা নেতিবাচক দিক।

৪. উচ্চ খরচ: অ্যামোলেড ডিসপ্লে তৈরির খরচ উচ্চ হওয়ার কারণে, ফোনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত উপাদানগুলির খরচও বাড়তে পারে। মানে সোজা কথায় বললে, এই ডিসপ্লের ফোন কেনার বিষয়টি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল।

তবে এত কিছু সত্ত্বেও কিন্তু AMOLED ডিসপ্লে খুবই আকর্ষণীয়। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য (পড়ুন সুবিধা) হল উন্নত মানের কোয়ালিটি, এতে এর বেশ ভিন্ন এবং উজ্জ্বল রং দেখতে পাবেন। এছাড়া এতে টাচ সেন্সিভিটিও খুব ভালো। আসলে উল্লিখিত চারটি বিষয় আপনার ওয়াকিবহাল থাকার কাজে আসবে, যাতে না জেনে এই ডিসপ্লের ফোন কিনে আপনি কোনোভাবে কিংকর্তব্যবিমূঢ় পরিস্থিতিতে না পড়েন বা আপনার মনে হয় যে আপনি ঠকে গেছেন!

সঙ্গে থাকুন ➥