NASA Asteroid: 150 ফুট চওড়া গ্রহাণুর সাথে ধাক্কা খাবে পৃথিবী? আতঙ্কের 48 ঘন্টা
সম্প্রতি, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুর বর্ধিত সংখ্যা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বারবার দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। যেমন গতমাসে এমনই একদল গ্রহাণু পৃথিবীর একেবারে গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে পৃথিবী ও গ্রহাণুদের মাঝে কয়েক মিলিয়ন কিমির (km) তফাত থাকায় সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি হয়নি।
আজ্ঞে হ্যাঁ, সামান্য কয়েক মিলিয়ন কিমির তফাত! এক্ষেত্রে কয়েক মিলিয়ন কিমিকে সামান্য বলে উল্লেখ করায় অনেকে হয়তো খানিকটা আশ্চর্য হবেন। তবে জেনে রাখা ভালো যে, বিশালাকৃতি গ্রহাণুরা সাধারণত ২৪,০০০-৫০,০০০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিতে চলাচল করতে পারে। তাই কয়েক মিলিয়ন কিমি দূরত্ব অতিক্রম করা এমন গ্রহাণুদের কাছে অনেক ক্ষেত্রেই এক বা দেড় দিনের ব্যাপার। আর সেজন্যই এবার বিজ্ঞানীদের কপালে চওড়া ভাঁজ পড়েছে, কেননা প্রায় ১৫০ ফুট চওড়া একটি গ্রহাণু আজ, প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে! নাসা (NASA) -র র্যাডারে ইতিমধ্যে এই গ্রহাণুর উপস্থিতি ধরা পড়েছে। সেক্ষেত্রে পৃথিবীকে অতিক্রমকালে এটি আমাদের গ্রহের বুকে আছড়ে পড়বে কিনা, সেই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
১৫০ -ফুট চওড়া গ্রহাণুর সাথে ধাক্কা খাবে পৃথিবী? নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা
নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি (JPL), স্মল-বডি ডেটাবেস ও সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (CNEOS) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য গ্রহাণুর নাম, '2022 Q031'। ৩০শে আগস্ট, ২০২২ -এর পূর্বে গ্রহাণুটি নাসার র্যাডারে ধরা পড়েনি। সেজন্যই গ্রহাণুটির এমন নামকরণ (2022 Q031) করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে এই গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৫ মিলিয়ন কিমিরও কম দূরত্বে রয়েছে, যা বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তা বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। শুধু তাই নয়, বরং এখন সেটি প্রায় ৩০,৪২০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিবেগে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে চলেছে। সেক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত কোনো কারণে, একদম শেষ মুহূর্তে গতির অভিমুখ বদলে গেলেই এটি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেতে পারে। মাত্র ২ দিনের মধ্যে এই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের অনুমান, শেষ পর্যন্ত গ্রহাণুটি সুরক্ষিতভাবে পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে অগ্রসর হবে। তেমন হলে পৃথিবীর বুকে এর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলা চলে। যদিও সেজন্য নাসার বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুর উপর থেকে চোখ সরাতে নারাজ। তাই এই মুহূর্তে পিডিসিও (PDCO) অর্থাৎ প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কো-অর্ডিনেশন অফিস গ্রহাণুটিকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছে।