Apple iPhone 13 নাকি OnePlus 11, দিওয়ালি সেলে সস্তায় কোন ফোন কেনা লাভজনক

By :  SUMAN
Update: 2023-11-08 18:25 GMT

চলমান উৎসবের মরসুমে বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তাদের ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় সেলের আয়োজন করছে। Amazon -এ চলছে Great Indian Festival সেল। এই সেলে আপনারা Apple iPhone 13 এবং OnePlus 11 -এর মতো জনপ্রিয় ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ৫১,০০০ টাকারও কমে কিনতে পারবেন। উভয়ই মডেলই 5G-এনাবল এবং একাধিক অ্যাডভান্স ফিচার অফার করে। তবে সর্বাধিক সেরা কোনটি বা দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন হ্যান্ডসেটটি উপযুক্ত - এই প্রশ্ন আপনাদের মনে জাগা খুবই স্বাভাবিক। বিশেষত একটি iOS চালিত এবং আরেকটি Android ফোন হাওয়ায় আরো বেশি বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। তাই আজ আমরা iPhone 13 এবং OnePlus 11 -এর সাথে প্রযোজ্য অফার আলোচনার পাশাপাশি, এগুলির মধ্যে থাকা পার্থক্যগুলি নিয়ে কথা বলবো।

Amazon-এ সস্তায় বিক্রি হচ্ছে Apple iPhone 13 এবং OnePlus 11

ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনে অ্যাপল আইফোন ১৩ মডেলটিকে ডিসকাউন্টের সাথে মাত্র ৫০,৪৯৮ টাকা প্রারম্ভিক মূল্য বিক্রি করা হচ্ছে। আবার নির্বাচিত ব্যাঙ্কের কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করলে ধার্য মূল্যের উপর আরো ২,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।

অন্যদিকে, ওয়ানপ্লাস ১১ ফোনটি এই মুহূর্তে ৫৬,৯৯৮ টাকায় অ্যামাজনে তালিকাভুক্ত। তবে উপলব্ধ ৪,০০০ টাকার ডিসকাউন্ট কুপন এবং ICICI ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের সাথে প্রযোজ্য ২,২৫০ টাকা ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট অফারের লাভ ওঠাতে পারলে উক্ত হ্যান্ডসেটকে অনেকটাই কমে অর্থাৎ ৫০,৭৪৮ টাকায় পকেটস্থ করা সম্ভব৷

Apple iPhone 13 নাকি OnePlus 11 কোন মডেলটি বেছে নেওয়া উচিত হবে?

এই প্রশ্নের উত্তর হল আপনারা কোন অপারেটিং সিস্টেমের সাথে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন,সেই অনুযায়ী iOS বা অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফ্ল্যাগশিপ বেছে নিন। এছাড়া আলোচ্য দুটি ডিভাইসের যাবতীয় ফিচার নিচে আলোচনা করা হল। আপনারা ফিচারগুলি তুলনা করেও যেকোনো একটি চয়ন করতে পারেন।

Apple iPhone 13 vs OnePlus 11 : প্রসেসর, অপারেটিং সিস্টেম, র‌্যাম, স্টোরেজ

আইফোন ১৩ মডেলটি অ্যাপলের নিজস্ব ৫ এনএম প্রসেসিং নোড ভিত্তিক এ১৫ বায়োনিক প্রসেসর সহ এসেছে। অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে এতে আইওএস ১৫ পাওয়া যাবে। আর স্টোরেজের কথা বললে, উক্ত মডেলে ৪ জিবি র‌্যাম ও ৫১২ জিবি পর্যন্ত রম মিলবে।

পারফরম্যান্সের জন্য ওয়ানপ্লাস ১১ স্মার্টফোনে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। হ্যান্ডসেটটি লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক অক্সিজেনওএস ১৩ (OxygenOS 13) কাস্টম স্কিন দ্বারা চালিত। স্টোরেজ হিসাবে এতে ১৬ জিবি পর্যন্ত LPDDR5x র‌্যাম এবং সর্বোচ্চ ৫১২ জিবি UFS 4.0 রম বর্তমান। আবার ডিভাইসটি যাতে দীর্ঘ সময়ের ব্যবহারে ওভার-হিট না হয়ে যায় তার জন্য এই ফোনে ভিসি লিকুইড কুলিং সিস্টেম বিদ্যমান।

Apple iPhone 13 vs OnePlus 11 : ডিসপ্লে, সেন্সর

আইফোন ১৩ ফোনে ৬.১-ইঞ্চির (২,৫৩২ x ১,১৭০ পিক্সেল) সুপার রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে, যা ৪৬০ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি অফার করে। এই ডিসপ্লেতে ওলেড প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটি হ্যাপটিক টাচ ও এইচডিআর টেকনোলজি সাপোর্ট করে। এছাড়া, ওলিওফোবিক (oleophobic) কোটিংও রয়েছে ডিসপ্লে প্যানেলে, যার ফলে স্ক্রিনে আঙুলের দাগছোপ পড়বে না। নিরাপত্তার জন্য এতে ফেস আইডি সেন্সর উপলব্ধ।

ওয়ানপ্লাস ১১ স্মার্টফোনে ৬.৭-ইঞ্চির কোয়াড এইচডি প্লাস (৩২১৬x১৪৪০ পিক্সেল) Samsung E4 AMOLED ডিসপ্লে রয়েছে। এই ডিসপ্লের ডিজাইন পাঞ্চ-হোল (কেন্দ্রীভূত) স্টাইলের এবং এর LTPO 3.0 প্যানেল ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট ও ডলবি ভিশন প্রযুক্তি সমর্থন করে। সিকিউরিটি ফিচার হিসাবে আন্ডার-ডিসপ্লে অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর মিলবে।

Apple iPhone 13 vs OnePlus 11 : ক্যামেরা সেটআপ

ফটো ও ভিডিওগ্রাফির জন্য আইফোন ১৩ মডেলে ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ আছে। এগুলি হল - শিফ্ট অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন প্রযুক্তি ও এফ/১.৬ অ্যাপারচার সহ ১২ মেগাপিক্সেল ওয়াইড সেন্সর এবং ১২০-ডিগ্রি FOV ও এফ/২.৪ অ্যাপারচার সহ ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স। এদিকে সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য এফ/২.২ অ্যাপারচার সহ ১২ মেগাপিক্সেলের ট্রু-ডেপ্থ ফন্ট-ফেসিং ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।

ওয়ানপ্লাস ১১ স্মার্টফোনের ক্যামেরা বিভাগ হ্যাসেলব্লাড (Hasselblad) সংস্থার সাথে অংশীদারিত্বে ডেভলপ করা হয়েছে। এতে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে। এগুলি হল – OIS-এনাবল ৫০ মেগাপিক্সেল Sony IMX890 প্রাইমারি সেন্সর, আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স ও অটোফোকাস সমর্থিত ম্যাক্রো ভিশন সহ ৪৮ মেগাপিক্সেল Sony IMX581 সেকেন্ডারি সেন্সর, এবং ২এক্স টেলিফোটো লেন্স যুক্ত ৩২ মেগাপিক্সেল Sony IMX709 RGBW টারশিয়ারি সেন্সর। ডিভাইসের সামনে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি শ্যুটার লক্ষণীয়।

Apple iPhone 13 vs OnePlus 11 : ব্যাটারি, চার্জিং ক্যাপাসিটি

আইফোন ১৩ ফোনে ৩,২৪০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উপস্থিত, যা একবার চার্জে ১৯ ঘন্টা পর্যন্ত ডিভাইসকে সক্রিয় রাখবে। এক্ষেত্রে, ২০ ওয়াট বা তার বেশি পাওয়ারের অ্যাডাপ্টার দিয়ে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে ব্যাটারিকে ৫০% পর্যন্ত চার্জ করা যাবে। আবার ডিভাইসটি ১৫ ওয়াট পর্যন্ত ম্যাগসেফ ওয়্যারলেস চার্জিং টেকনোলজিও সাপোর্ট করে।

পাওয়ার ব্যাকআপের ক্ষেত্রে ওয়ানপ্লাস ১১ স্মার্টফোনে ৫,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি থাকছে, যা ১০০ ওয়াট ফাস্ট ওয়্যারড চার্জিং সাপোর্ট করে।

Tags:    

Similar News