Leica ক্যামেরার প্রেমে পড়েছে Xiaomi, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করল জার্মান ক্যামেরা সংস্থার সাথে
Xiaomi তাদের স্মার্টফোনগুলির মোবাইল ইমেজিংয়ে অপটিক্যাল পারফরম্যান্স এবং ফটোগ্রাফিক অভিজ্ঞতা উন্নীত করতে সম্প্রতি জার্মান ক্যামেরা নির্মাতা সংস্থা Leica -এর সাথে দীর্ঘমেয়াদী স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ঘোষণা করলো৷ যদিও আলোচ্য দুটি সংস্থা ইতিমধ্যেই যৌথভাবে একটি হ্যান্ডসেট বাজারে নিয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে Xiaomi এবং Leica দ্বারা ভেভেলপ হওয়া প্রথম ইমেজিং ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনটি হল Xiaomi 12S Ultra। আর সাম্প্রতিক এই অংশীদারিত্বের ফলস্বরূপ আগামী দিনে সংস্থা দুটির তরফ থেকে এরকমই আরো অনেক ফোন বাজারে আনা হবে।
ক্যামেরা নির্মাতা সংস্থা Leica -এর সাথে অংশীদারিত্ব ঘোষণা করলো Xiaomi India
লাইকার সাথে অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে শাওমি ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে, "স্মার্টফোন ক্যামেরা মডিউল সেগমেন্টে ইনোভেটিভ (উদ্ভাবনী) সলিউশন যৌথভাবে বিকাশ করার পাশাপাশি অপটিক্যাল পারফরম্যান্স অপ্টিমাইজেশনের জন্য লাইকার সাথে হাত মেলানো হয়েছে।" একই সাথে "লাইকা ক্যামেরার জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি বর্তমানে সর্বোত্তম। আর তাই নব্য প্রজন্মের বহু গ্রাহক এখন 'লাইকা ইমেজ লুক' প্রদানকারী হ্যান্ডসেট ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।"
আপনাদের অবগতের জন্য জানিয়ে রাখি, ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লাইকা ক্যামেরা এজি (Leica Camera AG) স্ট্রিট ফটোগ্রাফার এবং 'ওয়ার্ল্ড ক্লাস' অপটিক্যাল লেন্স ব্যবহার করতে পছন্দ করেন এমন গ্রাহকদের জন্য লাইটওয়েট ক্যামেরা তৈরি করে এসেছে। যার দরুন বর্তমানে ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আগ্রহী পেশাদার এবং নবাগত ব্যক্তিরা আলোচ্য সংস্থা নির্মিত ক্যামেরা লেন্স ব্যবহারে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রসঙ্গত, ক্যামেরা নির্মাণের ক্ষেত্রে সংস্থাটির উন্নত অপটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শক্তিশালী কারিগরি প্রযুক্তি 'রেড ডট' দ্বারা স্বীকৃতি পেয়েছে।
তবে শাওমি একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড নয়, যারা কোনো ক্যামেরা নির্মাতা সংস্থার সাথে হাত মিলিয়েছে। অপর একটি প্রসিদ্ধ স্মার্টফোন নির্মাতা ব্র্যান্ড OnePlus -ও তাদের ফ্ল্যাগশিপ হ্যান্ডসেট OnePlus 10 Pro -এর ক্যামেরা সিস্টেম "কো-ডেভলপ" করতে সুইডিশ ক্যামেরা নির্মাতা সংস্থা হ্যাসেলব্লাডের (Hasselblad) সাথে অংশীদারিত্ব করেছিল।
প্রসঙ্গত শাওমি সম্পর্কে যখন আলোচনা হচ্ছেই, তখন সংস্থাটি প্রসঙ্গে সম্প্রতি আমাদের কানে আসা একটি খবর না বললেই নয়। ক্যানালিস গবেষক প্রদত্ত রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালে ভারতের বাজারে স্মার্টফোনের চালান হ্রাস পেয়ে ১৫১.৬ মিলিয়ন ইউনিটে নেমে এসেছে, যা কিনা ২০২১ সালের তুলনায় ৬% কম। আবার এই একই বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (Q4) অর্থাৎ ফেস্টিভ সিজন চলাকালীন স্মার্টফোন শিপমেন্টে প্রথমবারের জন্য পতন নজরে পড়েছে। এই সময়ে চালানের সূচক ২৭% নীচে নামে। যার দরুন তৎকালীন সময়ে মাত্র ৩২.৪ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়। তবে এতো কিছু সত্ত্বেও, শাওমি মোট ৫.৫ মিলিয়ন ইউনিট ফোন বিক্রি করে তৃতীয় স্থান অর্জনে সক্ষম হয়েছে।