10 থেকে 15 হাজারের মধ্যেই দুর্দান্ত 5G ফোন, দেশবাসীর জন্য নতুন চমক আনছে Xiaomi
শাওমি (Xiaomi) ইতিমধ্যেই বেশ কিছু হাই-এন্ড 5G স্মার্টফোন লঞ্চ করেছে, যার মধ্যে অন্যতম Xiaomi 13 Ultra, যেটি Samsung Galaxy S23 Ultra ও Apple iPhone 14 Pro Max-এর সাথে প্রতিযোগিতা করে। দামি মডেল আনলেও শাওমি ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন লঞ্চ করার কৌশলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের বাজেট-ফ্রেন্ডলি ফাইভ-জি মার্কেট সেগমেন্টে এবার ব্যবসা জমানোর পরিকল্পনা করেছে শাওমি। কারণ শাওমির ভারতীয় শাখার সভাপতি মুরালিকৃষ্ণাণ বি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে ৫জি ফোনের প্রকৃত সম্ভাবনা ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে।
Xiaomi বাজেট স্মার্টফোন মার্কেটের জন্য নতুন 5G ডিভাইসের ওপর কাজ করছে
শাওমি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট, মুরালিকৃষ্ণাণ বি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অধিকাংশ ৫জি ডিভাইসগুলি হাই-এন্ড সেগমেন্টে বিক্রি হয়, যার দাম ৩০,০০০ টাকার বেশি৷ তারপর এটি ১৫,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকার ব্র্যাকেটে ছড়িয়ে পড়ে। তবে, বড় সুযোগটি ১০,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকার সেগমেন্টে রয়েছে, যেখানে শাওমি ইতিমধ্যেই রেডমি নোট ১০টি ৫জি, রেডমি নোট ১১টি ৫জি-এর মতো ফোন লঞ্চ করেছে।
এই ক্ষেত্রে শাওমি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেণ্ট একবারেই ভুল নন, কারণ বেশিরভাগ ভারতীয় এখনও প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেট বেছে নেওয়ার পরিবর্তে একটি সুষম বাজেটের স্মার্টফোন কিনতে পছন্দ করেন। স্ট্যাটিস্টা-এর রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালে ভারতে স্মার্টফোনের গড় বিক্রয় মূল্য (ASP) ছিল ২২৪ ডলার (প্রায় ১৮,০০০ টাকা)। ফলে, ১০,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকার প্রাইস রেঞ্জের ওপর ফোকাস করা শাওমির জন্য ফলপ্রসূ হতে পারে। তাছাড়া, ভারতে বাজেট-ফ্রেন্ডলি ফোন অফার করার জন্য কোম্পানির এমনিতেই খ্যাতি রয়েছে।
সর্বোপরি, শাওমি তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে ভারতে এই মুহূর্তে ভালো অবস্থানে নেই। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ-এর জানুয়ারি মাসের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালে শাওমির ভারতে স্মার্টফোনের বিক্রি ২০২১ এর তুলনায় ২৪% কমেছে। গত বছর সামগ্রিকভাবে শীর্ষস্থান বজায় রাখতে পারলেও, কোম্পানিটি চতুর্থ ত্রৈমাসিকে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়ে স্যামসাং (Samsung) এবং ভিভো (Vivo)-এর থেকে পিছিয়ে পড়েছে। শাওমির বিভ্রান্তিমূলক পোর্টফোলিও ভারতে তাদের ব্যবসায় সমস্যা তৈরি করেছে। তাই, চীনা ব্র্যান্ডটিকে প্রতিযোগিতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আগেই এদেশে তাদের স্মার্টফোন পোর্টফোলিও মজবুত করতে হবে।