EV Charging: বৈদ্যুতিক গাড়িতে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়া এবার আরও সহজ, হাইওয়ের ধারে চার্জিং স্টেশন বসাল এই সংস্থা
অগ্নিমূল্য জ্বালানীর দাম বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা বাড়ালেও, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে এখনও মুখ ফিরিয়ে বড় অংশের ক্রেতা। তাদের একটাই দাবি, এই ধরনের গাড়ির ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশন আগে গড়ে উঠুক। সত্যিই তাই। কারণ দূরবর্তী কোনো জায়গা গন্তব্যস্থল হলে রেঞ্জ নিয়ে ভীতি কাজ করে। কারণ মাঝরাস্তায় চার্জ ফুরিয়ে গেলে তখন আরেক সমস্যা। এবার এই সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হল আর্থট্রন ইভি (Earthtron EV) বলে একটি সংস্থা)।
বড় শহরগুলিতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে চার্জিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। কিন্তু সড়ক বা মহাসড়কের ধারে সেই সংখ্যা যথেষ্ট নয়। তাই বৈদ্যুতিক গাড়িতে করে এক শহর থেকে দূরবর্তী কোনও শহরে যাত্রা সহজ করে তুলতে দিল্লি-আগ্রা , দিল্লি-জয়পুর, দিল্লি-চন্ডিগড় এবং দিল্লি-হরিদ্দার হাইওয়ের ধারে চারটি ইভি চার্জিং স্টেশন চালু করেছে আর্থট্রন ইভি। সংস্থাটি জানিয়েছে, চার্জিং স্টেশনগুলিতে ৫০টি চার্জিং পয়েন্ট আছে। যা সুপার-ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করবে।
আর্থট্রন ইভির প্রতিষ্ঠাতা আশীষ দেশওয়াল বলেন, "ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারকারীরা বাড়িতে চার্জ দেন বলে বড় শহরগুলিতে চার্জিং স্টেশন থাকলেও, তা মূলত কমার্শিয়াল গাড়ি ও ক্যাবের জন্য। হাইওয়ে সংলগ্ন জায়গায় চার্জিং নেটওয়ার্কের অভাবে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাত্রায় সমস্যার সম্মুখীন হয়। আমরা তার সমাধানে দিল্লি এনসিআর-এ সমস্ত প্রধান হাইওয়ের ধারে চার্জিং স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা করছি।"
এদিকে সরকারের ইচ্ছা, ২০৩০ সালের মধ্যে বিক্রি হওয়া ব্যক্তিগত গাড়ির ৩০%, বাণিজ্যিক গাড়ির ৭০%, এবং দু'চাকা ও তিন চাকা গাড়ির ৮০% যেন বৈদ্যুতিক হয়। জ্বালানি খরচ কম এবং দূষণ সৃষ্টি করে না বলে ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক ভেহিকেল পরিবেশবান্ধব যাতায়াতের প্রধান মাধ্যাম হয়ে উঠবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে প্রয়োজন হবে চার্জিং স্টেশনের। বর্তমানে চার্জিং স্টেশনের অপ্রতুলতার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে এই শিল্পের অগ্রগতি শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।