স্মার্টফোনের ব্যবহার পৌঁছাচ্ছে আসক্তিতে? মন-মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে এভাবে কাটান Digital Detox
এক সময় মানুষকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করার ধারণা বা কনসেপ্ট নিয়ে চালু হয়েছিল মোবাইল ফোন। ওই কারণে বাজারে এসেছিল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলিও। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই ফোন বা এই প্ল্যাটফর্মগুলি মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে! বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইউজাররা নানা কাজে তো এগুলি ব্যবহার করছেনই, কিন্তু কাজ ছাড়াও অনেকে কার্যত একরকম নেশায় আরো বেশি করে স্মার্টফোনে সময় কাটাচ্ছেন! এতে তাদের মন ও মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ছে। বাড়ছে অ্যাংজাইটির মত সমস্যা, অন্যদিকে সামাজিক দূরত্ব বেড়েই চলেছে।
সেক্ষেত্রে এই ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ডিটক্স যদি আপনার পরিবারেও প্রভাব ফেলে এবং আপনিও যদি এই বিষয়টি থেকে স্বস্তি পেতে উপায় খোঁজেন, তবে চিন্তা করবেন না। আসলে আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু কাজ (পড়ুন সংযম)-এর কথা বলব যাতে লাগাতার ফোন ব্যবহারের নেশা অনেকটাই কমতে পারে! তো আসুন এই উপায়গুলি সম্পর্কে জেনে নিই…
নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন
ফোনে বারবার আসা নোটিফিকেশন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ বা নোটিফিকেশন মিস না করার জন্য, আমরা ফোনটি আকছার হাতে তুলে নিই। এতে আমাদের ফোনের প্রতি আসক্তি বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি হাতের স্মার্টফোন থেকে দূরত্ব তৈরি করতে চান, তাহলে অ্যাপ নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন।
স্ক্রিন টাইম কমান
ফোনের স্ক্রিন টাইম কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ ব্র্যান্ডগুলি সোশ্যাল ওয়েলবিংয়ের মত ফিচার অফার করে। এর সাহায্যে, ইউজাররা স্মার্টফোনে সবচেয়ে বেশি সময় কোথায় ব্যয় করেন তা পরীক্ষা করতে পারেন এবং স্ক্রিন টাইম কমাতে পারেন৷
ফ্লাইট মোড
আপনি যখন ছুটি কাটাবেন বা পরিবারের সাথে সময় কাটাবেন, তখন ফোনটি অফ বা এয়ারপ্লেন মোডে রাখুন। এতে আপনার মনোযোগ ফোনের প্রতি থাকবে না এবং আপনার অভ্যাস আস্তে আস্তে পাল্টাবে!
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের ব্যবহার
Facebook, WhatsApp ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে এবং আমরা প্রায়শই এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে আমাদের সময় নষ্ট করি। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের ব্যবহার কমানো উচিত।
নো-ফোন নিয়ম
এটি কোনো লিখিত বা বিশেষজ্ঞ বর্ণিত নিয়ম নয়, কিন্তু স্মার্টফোনের ব্যবহার কমাতে বাড়িতে এমন নিয়ম করতে হবে যাতে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে কেউ অকারণে স্মার্টফোন ব্যবহার না করে। এতে স্মার্টফোন ব্যবহারের অভ্যাস অনেকটাই কমবে!