Sunita Williams: ২০২৫ সাল পর্যন্ত পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন না সুনিতা উইলিয়ামস? কি সমস্যা হল

জানা গেছে সুনিতা উইলিয়ামস এবং উইলমোরকে কমপক্ষে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত আইএসএস (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন)-এ থাকতে হতে পারে।

Update: 2024-08-13 17:45 GMT

বোয়িং-এর নতুন স্টারলাইনারের সাথে জুন মাসে সুনিতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুশ উইলমোড়কে পরীক্ষার জন্য মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। আর এই উভয় মহাকাশচারীর এক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীতে ফেরত আসার কথা ছিল। তবে, ইন্টারন্যাশনাল স্পিড স্টেশনে অবতরণের সময় স্টারলাইনার ক্যাপসুলে থ্রাস্টার ফেলিওর, হিলিয়াম লিকের মতো ত্রুটি দেওয়ায় স্থগিত করা হয়েছিল উভয় মহাকাশচারীর পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সময়।

তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুই মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনতে নাসা এখন পেজ এক্স ড্রাগন ক্যাপসুলকে নতুন বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভাবছে। উল্লেখ্য, এই ড্রাগন হলো একটি পরীক্ষিত পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান। যদিও এরপরও শীঘ্রই ফেরা হচ্ছে না সুনিতাদের। কারণ এই মুহূর্তে ড্রাগনের পরবর্তী মিশন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং জানা গেছে সুনিতা উইলিয়ামস এবং উইলমোরকে কমপক্ষে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত আইএসএস (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন)-এ থাকতে হতে পারে।

তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে আইএসএস-তে থাকায় সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুশ উইলমোড়ের ডিএনএ-র ক্ষতি সহ হাড়ের ঘনত্ব কমে আসা, দৃষ্টি সমস্যা এবং ক্যান্সারের মতো অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর ঠিক এই কারণেই মহাকাশ মিশনগুলিতে মহাকাশচারীদের খুবই স্বল্প সময়ের জন্য রাখা হয়। যদিও আইএসএস ছয় মাস পর্যন্ত কোনো নভোচারীকে মহাকাশে রাখতে সক্ষম। কারণ, আইএসএস একটি বড় স্থান, যার দৈর্ঘ্য ৩৫৬ ফুট বা ১০৯ মিটার। এটি প্রায় একটি আমেরিকান ফুটবল স্টেডিয়ামের সমান বৃহৎ। আর এখানকার থাকার এবং কাজের জায়গাটি ৬টি বেডরুম বিশিষ্ট বাড়ির সমান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুনিতা উইলিয়ামস এবং উইলমোড় ছাড়াও বর্তমানে আইএসএস-এ আরও ৭ জন মহাকাশচারী উপস্থিত আছেন। যার মধ্যে ৪জন মহাকাশচারী আমেরিকার এবং ৩জন মহাকাশচারী রাশিয়ার।

রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, আইএসএস-তে অক্সিজেন জেনারেশন ইউনিট উপস্থিত, যেগুলি মহাকাশচারীর নিঃশ্বাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করতে সক্ষম। আর জলের জন্য এখানে এমন এক প্রযুক্তি রয়েছে যেটির সাহায্যে মহাকাশ থেকে আর্দ্রতা সংগ্রহ করে জলে রূপান্তরিত করা হয়। এছাড়াও, সেখানে এমন একটি যন্ত্র আছে যেটি প্রস্রাবকে বিশুদ্ধ পানীয় জলের রূপান্তরিত করতে সক্ষম।

এছাড়াও, মহাকাশচারীদের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী আইএসএস-এ পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্যও উপস্থিত আছে। যেগুলি বিশেষভাবে হিউস্টনের নাসার স্পেস ফুড সিস্টেম ল্যাবটরিতে নভোচারীর প্রয়োজনীয়তা এবং ক্ষুধার জন্য পরীক্ষা করে প্রস্তুত করা হয়েছে।

এদিকে আইএসএস-তে উপলব্ধ খাবারের মধ্যে বারবিকিউ বিফ ব্রিসকেট, সবজি, ডিম এমনকি মিষ্টির মতন আইটেমও অন্তর্ভুক্ত আছে। সম্প্রতি ৬ আগস্ট নর গ্রুমেন সিগন্যাস ইঞ্চি ২১ কার্গ মহাকাশ যান দ্বারা সেখানকার খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রিফিল করা হয়েছিল। তাই, বর্তমানে উইলিয়ামস এবং উইলমোরকে খাদ্যের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। তবে এই মুহূর্তে তাদের পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন এক প্রকার অনিশ্চিত হয়ে রইল।

Tags:    

Similar News