ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি সহ দেশের সেরা পাঁচ বাইক-স্কুটার, দাম 1 লাখেরও কম
আজকের প্রযুক্তি নির্ভর সভ্যতায় দাঁড়িয়ে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটির মত বৈশিষ্ট্যের উপর আমরা অনেকটাই নির্ভরশীল। মোটরসাইকেল হোক কিংবা চারচাকা এই ব্লুটুথ এর মাধ্যমে মোবাইল ফোন সংযোগ করার সহজতর বৈশিষ্ট্যটি বর্তমানে যথেষ্ট প্রয়োজনীয় একটি ফিচার। এর মাধ্যমে কল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মত মোবাইল ফোনের তথ্য যেমন দেখতে পাওয়া যায় ইন্সট্রুমেন্ট কনসোলে ঠিক তেমনই টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন ভেসে ওঠে গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল-স্কুটারের স্ক্রিনে। এখানেই শেষ নয় ব্লুটুথ এর মাধ্যমে সেই যানবাহনটির বিভিন্ন সেন্সরের অবস্থা সংক্রান্ত নানাবিধ তথ্য এবং রাইডিং হিস্ট্রি মোবাইল ফোনের অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রতিমুহূর্তে ট্র্যাক করা সুবিধা পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে ব্লুটুথ বা স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি যুক্ত সেরা টু-হুইলারের লিস্ট রইল, যাদের দাম ১ লাখ টাকার মধ্যে।
Hero Splendor+ XTEC (৭৬,৩৪৬ টাকা)
ভরসাযোগ্য মোটরসাইকেলের কথা বলতে গেলেই দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সমান দক্ষতায় বাজার কাঁপানো হিরো স্প্লেন্ডার সিরিজের বাইকের কথায় সবার প্রথমে আসে। সাম্প্রতিককালে আধুনিক সাজে সজ্জিত হয়ে স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক ভার্সন লঞ্চ হয়েছে। ব্লুটুথ সংযোজন এর সঙ্গে নতুন ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার দেখতে পাওয়া যায় এতে। যদিও আগের মতই ৯৭.২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন একে চালিকা শক্তি যোগায়। ইঞ্জিনটি থেকে ৮,০০০ আরপিএম গতিতে ৭.৯২ বিএইচপি শক্তি এবং ৬,০০০ আরপিএম গতিতে ৮.০৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক মডেলটির থেকে মোটামুটি ভাবে লিটার প্রতি ৭৫-৮১ কিমি মাইলেজ মেলে।
Yamaha Fascino (৮৮,২৩০ টাকা)
এদেশের বাজারে ইয়ামাহা প্রথম ফ্যাসিনো রেঞ্জের আড়ালেই তাদের স্কুটারের পথ চলা শুরু করেছিল। বর্তমানে ইয়ামাহা ফ্যাসিনো ড্রাম এবং ডিস্ক এই দুটি ভ্যারিয়েন্টে কিনতে পাওয়া যায়। ডিস্ক সংস্করণের মধ্যে ব্লুটুথ এর অপশন রয়েছে। অন্যান্য ব্লুটুথ সংযুক্ত স্কুটারের মতোই ফ্যাসিনোতেও সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কন্ট্রোল দেখতে পাওয়া যায়। ইয়ামাহার নিজস্ব Y Connect এপ্লিকেশনের মাধ্যমে স্মার্টফোনের থেকে কল, এসএমএস এলার্ট এবং ব্যাটারির লেভেল সম্পর্কিত তথ্যাবলী প্রত্যক্ষ করা যায়। এছাড়াও, ফোনের অ্যাপ্লিকেশনের মারফত ফুয়েল কনজামশন, লাস্ট পার্কিং লোকেশন, মেইনটেনেন্স, ম্যালফাংশন সহ স্কুটারটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে নানা রকম প্রয়োজনীয় আপডেট দেখতে পাওয়া যাবে।
Suzuki Access 125 (৮৫,৫০০ টাকা)
ফ্যাসিনো ১২৫ এর মতই সুজুকি অ্যাকসেস ১২৫ জাপানি সংস্থার সুজুকির এন্ট্রি লেভেলের একটি স্কুটার। স্ট্যান্ডার্ড,স্পেশাল এডিশন ও রাইড কানেক্ট এডিশন এই তিনটি সংস্করণে কিনতে পাওয়া যায় এটি। শেষের মডেলটিতেই কেবলমাত্র ব্লুটুথ ফিচার উপলব্ধ। এই রাইড কানেক্ট এডিশনে স্কুটার ডিসপ্লেতে মিসড কল অ্যালার্ট এর সঙ্গে কলার আইডি, ব্যাটারি লেভেল, স্পিড এলার্ট, এসএমএস এলার্ট, টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন সহ নানা প্রকার ফিচার উপলব্ধ।
TVS Ntorq 125 Race Edition (৯২,৮৯১ টাকা)
তামিলনাড়ুর সংস্থা টিভিএস এর তৈরি দুই চাকার মডেল গুলির মধ্যে এনটর্ক স্কুটারটি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। টিভিএসের রেসিং সেগমেন্টকে এই স্কুটারের মাধ্যমে আরও বেশি করে বহিঃপ্রকাশ ঘটানো গিয়েছে। আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স সহ অত্যাধুনিক সমস্ত ফিচারের সংমিশ্রণে তৈরি টিভিএস এনটর্ক এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯৫কিমি/ঘণ্টা, যা আপামোর স্কুটারপ্রেমীদের কাছে অনেক বড় পাওনা। স্পোর্ট এবং স্ট্রিট নামে দুটি ডিসপ্লে মোড আছে। ব্লুটুথ সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে স্কুটারের স্ক্রিনে ইনকামিং কল, এসএমএস, মিসড কল অ্যালার্ট, নেভিগেশন, ইঞ্জিন টেম্পারেচার ইন্ডিকেটর, লাস্ট পার্কিং সহ আরও বিভিন্ন তথ্য দেখতে পাওয়া যায়।
Suzuki Avenis Race Edition (৯২,৩০০ টাকা)
আমাদের দেশের স্পোর্টস স্কুটার সেগমেন্টে টিভিএস এনটর্ক এর একচেটিয়া আধিপত্যে দখলদারি নিতেই লঞ্চ করা হয়েছে সুজুকি অ্যাভেনিস। এটি স্ট্যান্ডার্ড এবং রেস এডিশন এই দুই ধরনের সংস্করণে উপলব্ধ। দ্বিতীয় ক্ষেত্রেই সুজুকির রাইড কানেক্ট অ্যাপ্লিকেশন এর সাহায্যে একে সংযুক্ত করা যায়। সুজুকি অ্যাক্সেস ১২৫ এর মতই একই ধরনের সমস্ত বৈশিষ্ট্য এক্ষেত্রেও উপলব্ধ রয়েছে। তবে আগের তুলনায় এটি অনেক বেশি আকর্ষণীয় লুকের অধিকারী। উভয় ক্ষেত্রেই ৮.৫ বিএইচপি শক্তি এবং ১০ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী ১২৫ সিসির ইঞ্জিন চলার প্রধান শক্তি যোগায়।