Starlink Internet Speed: স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেটের গতি কেমন? চাপের মুখে জিও ও এয়ারটেল?
ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক কবে আসবে তা নিয়ে জোর জল্পনা। জিও, এয়ারটেলকে চাপে ফেলে দেশজুড়ে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করতে উদ্যোগী এই সংস্থা। ভারতে যদি স্টারলিঙ্ক পরিষেবা শুরু হয়, তাহলে কেমন ইন্টারনেট গতি পাওয়া যাবে? জানুন।
দেশে পরিষেবা শুরু করার প্রায় দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে স্টারলিঙ্ক। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্কের সংস্থা ইতিমধ্যে একাধিক নিরাপত্তা নিয়ম মানতে রাজি হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় তারা। তবে এখন প্রশ্ন, স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট এবং জিও-এয়ারটেল ৫জি ইন্টারনেটের গতির মধ্যে ফারাক কত? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
তুলনায় যাওয়ার আগে জানিয়ে রাখি, এই মুহূর্তে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার নির্বাচিত এলাকায় পরিষেবা দিচ্ছে স্টারলিঙ্ক। ভারতে আসার জন্য নিয়ন্ত্রক অনুমোদনের প্রয়োজন। যার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলে সূত্রের খবর। ট্রাই-এর তরফে স্যাটেলাইট স্পেকট্রামের নিলাম প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে, স্টারলিঙ্কের পথ অনেকটাই প্রশস্ত হবে।
স্টারলিঙ্ক বনাম জিও-এয়ারটেল : ইন্টারনেটের গতি
জিও ও এয়ারটেল ৫জি পরিষেবা : ইতিমধ্যে এয়ারটেল, জিও, বিএসএনএল এবং ভিআই তাদের গ্রাহকদের উচ্চ-গতির ব্রডব্যান্ড পরিষেবা সরবরাহ করতে শুরু করেছে। ৫জির ক্ষেত্রে জিও এবং এয়ারটেল ব্যবহারকারীরা ৩০০ থেকে ৪০০ এমবিপিএস গতিতে ইন্টারনেট পেয়ে থাকেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই গতি ৭০০ এমবিপিএস পর্যন্ত চলে যায়।
স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট গতি : বর্তমানে একাধিক দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দেয় স্টারলিঙ্ক। এর গতি ৫০ এমবিপিএস থেকে ১৫০ এমবিপিএস। অ্যাডভান্স প্ল্যানের গতি ২২০ এমবিপিএস। আপলোড গতি ১০ এমবিপিএস থেকে ২০ এমবিপিএস। ডিভাইসের অবস্থান অনুসারে এই গতি পরিবর্তিত হতে পারে। সংস্থার দাবি, ব্যবহারকারীরা এইচডি স্ট্রিমিং, অনলাইন গেমিং এবং বড় ফাইল ডাউনলোড-সহ বিভিন্ন অনলাইন কার্যকলাপ উপভোগ করতে পারবেন।
সংস্থা আরও জানিয়েছে, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে। গ্রামীণ এলাকার ব্যবহারকারীদের জন্যই বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এই প্রযুক্তি। যেসব জায়গায় উচ্চ-গতির ইন্টারনেট যুক্ত মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা বা অপটিক্যাল ফাইবার লাইন ছড়ানো মুশকিল, সেখানে ইন্টারনেটের সঙ্গে মানুষদের সংযোগ করাবে স্টারলিঙ্ক। সবমিলিয়ে, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলিতে এখনও উন্নত ৫জি পরিষেবা চালু না হওয়ায়, জিও-এয়ারটেলকে ভালো টেক্কা দিতে পারে স্টারলিঙ্ক।