iQOO 11 Pro: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত স্মার্টফোন ভারতে আসছে ১০ জানুয়ারি, কেনার জন্য তৈরি তো?

আইকো সম্প্রতি চীনে তাদের সাম্প্রতিকতম iQOO 11 সিরিজটি লঞ্চ করেছে। এই লাইনআপে অন্তর্ভুক্ত iQOO 11 এবং iQOO 11 Pro মডেল দুটি দেশীয় বাজারে আত্মপ্রকাশ করেছে। একটি প্রেস রিলিজে কোম্পানি ঘোষণা করেছে যে iQOO 11 সিরিজটি চলতি সপ্তাহেই আন্তর্জাতিক বাজারে উন্মোচিত হবে। চীনের বাইরের প্রথম মার্কেট হবে থাইল্যান্ড। এছাড়াও আইকো ঘোষণা করেছে যে, আগামী বছরের প্রথম দিকেই নতুন iQOO 11 ফ্ল্যাগশিপ সিরিজটি ভারতীয় বাজারে পা রাখবে। আর এখন কোম্পানি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আপকামিং সিরিজটির লঞ্চের তারিখ প্রকাশ করেছে। চলুন ঠিক কবে ভারতীয় ক্রেতারা হাতে পাবেন এই বহু প্রতীক্ষিত স্মার্টফোন লাইনআপের হ্যান্ডসেটগুলি জেনে নেওয়া যাক।

iQOO 11 সিরিজ ভারতে আসছে জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকেই

ভিভো তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে নিশ্চিত করেছে যে, ভারতীয় বাজারে আগামী ১০ জানুয়ারি নতুন আইকো ১১ সিরিজের হ্যান্ডসেটগুলির ওপর থেকে পর্দা সরানো হবে। ব্র্যান্ডটি আইকো ১১ প্রো-কে বিশ্বের দ্রুততম স্মার্টফোন বলে অভিহিত করেছে। কিন্তু এই দাবি কতটা সত্যি? আশা করা যায়, ফোনটির বৈশিষ্ট্যগুলিই এর গতির প্রমাণ দেবে। সুতরাং আসুন বিশ্বের তথাকথিত “ফাস্টেস্ট ফোন”-এর স্পেসিফিকেশনগুলির ওপর চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

আইকো ১১ প্রো-এর স্পেসিফিকেশন – iQOO 11 Pro Specifications

আইকো ১১ প্রো ফোনে ৬.৭৮ ইঞ্চির এলটিপিও ৪ অ্যামোলেড (AMOLED) ডিসপ্লে রয়েছে, যা ১৪৪ হার্টজ পর্যন্ত রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে। এছাড়াও, এই ডিসপ্লেটি ১ বিলিয়ন কালার, এইচডিআর১০+ সাপোর্ট, ১,৪৪০ x ৩২০০ পিক্সেলের রেজোলিউশন, ৫১৮ পিপিআই পিক্সেল ঘনত্ব এবং ১,৮০০ নিট পর্যন্ত স্ক্রিন ব্রাইটনেস অফার করে। ডিভাইসটি কোয়ালকমের লেটেস্ট এবং সর্বশ্রেষ্ঠ স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ প্রসেসর দ্বারা চালিত, যা তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (TSMC)-এর ৪ ন্যানোমিটার প্রক্রিয়ায় নির্মিত এবং এর সাথে গ্রাফিক্সের জন্য অ্যাড্রেনো ৭৪০ জিপিইউ-টি যুক্ত আছে। আইকো ১১ প্রো সর্বাধিক ১৬ জিবি র‍্যাম এবং ৫১২ জিবি স্টোরেজ অফার করে।

ফটোগ্রাফির জন্য, iQOO 11 Pro-এর ব্যাক প্যানেলে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা সেন্সর, ১৩ মেগাপিক্সেলের টেলিফোটো লেন্স এবং ৫০ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড সেন্সর সহ ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ উপস্থিত রয়েছে। আর উল্লেখযোগ্যভাবে, iQOO 11 Pro বিশ্বের মুষ্টিমেয় কয়েকটি স্মার্টফোনের মধ্যে একটি যা ৩০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড (fps) হারে ৮কে (8K) ভিডিও রেকর্ড করে। তবে, এই হ্যান্ডসেটের ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরাটি ৪কে (4K) ভিডিও রেকর্ডিংও সাপোর্ট করেনা। এটি ৩০ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড (fps) হারে ১,০৮০ পিক্সেলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

পাওয়ার ব্যাকআপের ক্ষেত্রে, iQOO 11 Pro-এ ৪,৭০০ এমএএইচ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ২০০ ওয়াট সুপারফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। এছাড়াও, এটি ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং এবং ১০ ওয়াট রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিংও সাপোর্ট করে। 11 Pro-এর ব্যাটারিটি মাত্র ১০ মিনিটে শূন্য থেকে ১০০% পর্যন্ত চার্জ হতে পারে বলে দাবি করেছে কোম্পানি।

আইকো ১১ প্রো-এর দাম ​​এবং লভ্যতা – iQOO 11 Pro Price and Availability

চীনের বাজারে iQOO 11 Pro-এর প্রারম্ভিক মূল্য ৪,৯৯৯ ইউয়ান (প্রায় ৬০,০০০ টাকা)। এটি বিএমডাব্লিউ ব্র্যান্ডিংয়ের সাথে ব্ল্যাক, গ্রীন এবং হোয়াইট-এই তিনটি কালার অপশনে বাজারে এসেছে। চলতি সপ্তাহে ফোনটি স্ট্যান্ডার্ড iQOO 11-এর সাথে থাইল্যান্ডে আত্মপ্রকাশ করবে। আর আগামী মাসে এই ফ্ল্যাগশিপ হ্যান্ডসেটগুলি উপলব্ধ হবে ভারতের বাজারে।