পেট্রল-ডিজেলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে এই ধরনের গাড়ি বেশি করে লঞ্চের লক্ষ্য নিল Tata

Avatar

Published on:

Tata Motors aims 1 in 3 passenger vehicles to be Gas or Electric

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম যাত্রী গাড়ি নির্মাতা টাটা মোটরস (Tata Motors) ধীরে ধীরে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। দেশীয় সংস্থাটি ঘোষণা করেছে যে, অদূর ভবিষ্যতে এদেশে তাদের বিক্রিত প্রতি তিনটি যাত্রীবাহী গাড়ির মধ্যে একটি হবে নয় গ্যাস পরিচালিত অথবা ইলেকট্রিক মডেল।

Tata আরও বেশি গ্যাস ও বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চ করবে

খুব সম্প্রতি টাটা মোটরস Altroz প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাকের সিএনজি ভার্স iCNG লঞ্চ করেছে। আবার ২০২৪-এর মধ্যে আরও একটি নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চের পরিকল্পনা করছে সংস্থা। আসলে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে নিজেদের পোর্টফোলিওতে গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক গাড়িরহার ১৫ শতাংশ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে টাটা। বর্তমানে যা যথাক্রমে ৮% ও ৯% রয়েছে।

গত বছর ডিসেম্বরে বেইন অ্যান্ড কো প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ২০৩০-এর মধ্যে ভারতের রাস্তায় চলাচলকারী মোট যানবাহনের ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ দখল করবে বৈদ্যুতিক মডেল। প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ ইলেকট্রিক ভেহিকেল বিক্রি হবে। এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর বিভিন্ন অটোমোবাইল নির্মাতা পরিবেশবান্ধব যানবাহনের দিকে তাদের গুরুত্ব বাড়িয়েছে।

প্রতিপক্ষ Maruti Suzuki এবং Hyundai Motor পরিবেশবান্ধব কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস বা সিএনজি চালিত যানবাহন আনতে দেখে উদ্দীপ্ত হচ্ছে টাটা। এবাজারেও এই জাতীয় যানবাহনের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টাল বাহন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩-এর মার্চে ৩০,০০০ ইউনিট সিএনজি ভেহিকেল বিক্রি হয়েছিল। যা ২০২১-এর ওই সময়ের তুলনায তিনগুণ বেশি।

Tata Altroz iCNG দাম ও ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

এদিকে সদ্য লঞ্চ হওয়া Tata Altroz iCNG এর ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী দাম ৭.৫৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০.৫৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হয়েছে। এতে উপস্থিত একটি ১.২ লিটার রিভোট্রন থ্রি-সিলিন্ডার NA পেট্রোল ইঞ্জিন। যা থেকে সিএনজি মোডে ৭৩৫ পিএস শক্তি এবং ১০৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। অন্যদিকে পেট্রোল মোডে এর আউটপুট ৮৮ পিএস এবং ১১৫ এনএম।

সঙ্গে থাকুন ➥