১১ হাজার টাকার কমে কেনা যাবে JioBook ল্যাপটপ, ফুল চার্জে চলবে ৮ ঘন্টা

সস্তায় ল্যাপটপ কেনার স্বপ্ন এবার সত্যি হবে। কারণ ১১ হাজার টাকার কমে এখন সমস্ত ভারতবাসী কিনতে পারবেন JioBook Laptop। তাই আপনার বাজেট যদি কম হয়, তাহলে এটিই উপযুক্ত বিকল্প হতে পারে। উল্লেখ্য, রিলায়েন্স জিও এই মাসের শুরুতে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস (IMC) ইভেন্টে তাদের প্রথম ল্যাপটপ লঞ্চ করেছিল। তবে ডিভাইসটি এতদিন সরকারী কর্মচারীদের জন্য উপলব্ধ ছিল, কিন্তু এখন সবার জন্য JioBook Laptop উপলব্ধ।

JioBook Laptop এর দাম ও লভ্যতা

জিওবুক ল্যাপটপের প্রারম্ভিক মূল্য ১৫,৭৯৯ টাকা, যা এর আসল দামের থেকে কিছুটা কম। ডিভাইসটিকে প্রাথমিকভাবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ১৯,৫০০ টাকায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। ফলে অনুমান করা হচ্ছে, ল্যাপটপটি হয় ডিসকাউন্ট মূল্যে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বা কম দামে ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ করা হচ্ছে। আগ্রহী ক্রেতারা রিলায়েন্স ডিজিটাল স্টোরের মাধ্যমে ডিভাইসটি কিনতে পারবেন।

JioBook Laptop এর উপর ব্যাঙ্ক অফার

আপনি আরও কম দামে এই ল্যাপটপটি কিনতে পারবেন। আসলে রিলায়েন্স স্টোরে জনপ্রিয় সমস্ত ব্যাঙ্কের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করলে ৫,০০০ টাকা ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি ইএমআই ট্র্যানজ্যাকশনেও এই ছাড় মিলবে।

JioBook Laptop এর স্পেসিফিকেশন ও ফিচার

4G LTE সাপোর্ট সহ আসা জিওবুক ল্যাপটপে পাওয়া যাবে ১১.৬ ইঞ্চি টিএন ডিসপ্লে, যা এইচডি (১৩৬৬ x ৭৬৮ পিক্সেল) রেজোলিউশন অফার করবে। এতে চওড়া বেজেল উপস্থিত। ভিডিও কলিংয়ের জন্য এতে ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।পারফরম্যান্সের জন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাড্রনো ৬১০ জিপিইউ সহ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬৫ প্রসেসর।

এছাড়া জিওবুক ল্যাপটপ এসেছে ২ জিবি র‌্যাম (LPDDR4X) ও ৩২ জিবি স্টোরেজের (eMMC) সাথে, যা ১২৮ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। ল্যাপটপটি জিওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলে। এতে JioStore অ্যাপ উপলব্ধ, যার মাধ্যমে থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে।

পাওয়ার ব্যাকআপের ক্ষেত্রে, JioBook ল্যাপটপে ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির দাবি, এই ব্যাটারি ৮ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দেবে। এতে প্যাসিভ কুলিং সাপোর্ট করবে। আবার ল্যাপটপটি মাইক্রোফোন ও হেডসেটের জন্য টু-ইন-ওয়ান কম্বো পোস্ট সহ ডুয়েল স্পিকার অফার করবে। কানেক্টিভিটির জন্য এতে পাওয়া যাবে ইউএসবি ২.০ পোর্ট, একটি ইউএসবি ৩.০ পোর্ট এবং একটি এইচডিএমআই পোর্ট, ওয়াই-ফাই ৮০২.১১এসি, ব্লুটুথ ৫.০ এবং মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট।