Bike Maintenance Tips: পুরনো বাইকের যত্ন কীভাবে নেবেন, জেনে নিন ছয়টি সহজ উপায়

নিজের বহুদিনের পুরনো বাইক বা স্কুটারটি সন্তান সমতুল্যে যত্ন করার চিত্র প্রায়শই নজরে পড়ে। যানটির সাথে তার মালিক মায়ার বাঁধনে এতটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায়, যে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তা বিক্রির কথা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারে না। এদিকে বার্ধক্য চলে আসার কারণে বাহনটির অবস্থাও শোচনীয় হয়ে উঠেছে। আগের মতো মাঠঘাট চষে বেড়ানোর ক্ষমতাও ম্লান হয়ে এসেছে। তবে প্রযুক্তিবিদরা এক্ষেত্রে কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাদের মতে সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা নিলে পুরনো পথ চলার সঙ্গীটিও হয়ে উঠতে পারে স্ফূর্তিমান যুবক। বলাই বাহুল্য নতুন টু-হুইলারের চাইতে পুরনো মডেলটির একটু বেশি যত্নআত্তির প্রয়োজন। এই প্রতিবেদনে সেই নিয়েই বিশদে আলোচনা রইল।

টায়ারের হাল কেমন রয়েছে

আপনার টু-হুইলারের টায়ারের অবস্থা কেমন রয়েছে দেখে নিন। নিজে না বুঝলে একজন মেকানিকের সাহায্য নিতে পারেন। খারাপ হয়ে এলে সেটি সত্ত্বর বদলে ফেলাই যুক্তিযুক্ত। কিছুদিন অন্তর টায়ারের এয়ার প্রেসার কত রয়েছে মাপিয়ে দেখুন। এছাড়া হুইল ব্যালেন্স এবং অ্যালাইনমেন্ট ঠিক রয়েছে কিনা তা চেক করান।

ইঞ্জিন অয়েল পাল্টে নিন

গাড়ির ইঞ্জিনের কার্যকারিতা দীর্ঘস্থায়ী করতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ইঞ্জিন অয়েল বদলানো ভীষণ জরুরী। বেশি দিন পুরানো হয়ে গেলে কার্বন জমে তেল ঘন এবং নোংরা হয়ে যায়, যা ইঞ্জিনের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এমনকি বেশি পথ যাত্রা না করলেও একটি সময় অন্তর এটি বদলে ফেলাই বাঞ্ছনীয়।

এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন

রাস্তায় নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে চলার ক্ষেত্রে বাইকের এয়ার ফিল্টারের গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত সার্ভিসিংয়ের সময় এটি পরিষ্কার করা হয়। তাছাড়া এমনি সময় তো চাইলে এটি খুলে পরিষ্কার করা যায়। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফিল্টারটি পরিষ্কার রাখুন।

ক্লাচ অ্যাডজাস্ট করান

গিয়ার যুক্ত মোটরসাইকেলে প্রতি মুহূর্তের ক্লাচের প্রয়োজন। বাইকের স্বাস্থ্য তরতাজা রাখতে ক্লাচ ভালো রাখাও তাই বাধ্যতামূলক। অনেকেই যেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেন না। অনেকদিন ক্লাচের দেখভাল না হলে এটি শক্ত হতে থাকে। যে কারণে পথে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

সার্ভিসিং করান নির্দিষ্ট সময় অন্তর

ইঞ্জিন, ক্লাচ, ব্রেক সর্বোপরি বাইকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বাইক ও স্কুটারের সার্ভিসিং অবশ্যই করান। এক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন সার্ভিসিং মানে কেবল বাইক স্কুটার ধোয়ানো। আসলে কিন্তু তেমনটি নয়। প্রতি ১,৫০০ কিমি অন্তর কার্বুরেটর এবং টু-স্ট্রোক টু-হুইলারের ক্ষেত্রে ৭৫০ কিমি এবং ফোর- স্ট্রোক টু-হুইলারের ক্ষেত্রে ১,৫০০ কিমি অন্তর স্পার্ক প্লাগ চেক করাতে ভুলবেন না।

ট্রান্সমিশন সিস্টেমে লুব্রিকেট ব্যবহার করুন

মসৃণ যাত্রার জন্য বাইকের চেইনের ভূমিকাও যথেষ্ট হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় যথাযথ যত্নের অভাবে দামি বাইক হওয়া সত্ত্বেও তা থেকে আওয়াজ বেরোচ্ছে। তাই কিছুদিন অন্তর চেন টাইট করান ও মেকানিককে লুব্রিকেট ব্যবহার করার জন্য বলুন।