Internet Speed: মোবাইলে নেট খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে? কিছু সেটিংস বদলে নিলেই কেল্লাফতে

Avatar

Updated on:

How to Boost Mobile Internet Speed

Internet Speed Boost Tips : ইন্টারনেটের স্পিড কমে যাওয়া সবচেয়ে বিরক্তিকর পরিস্থিতিগুলির মধ্যে একটি। এর দরুন প্রথমত দরকারি সমস্ত কাজ আটকে যায়। অন্যদিকে, হাই-স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য বহুল পরিমাণে খরচ করা টাকা অপব্যয় হয় বলে মনে হয়। এমত পরিস্থিতিতে, ভাল ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়ার জন্য অনেকেই ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) কানেক্টিভিটি অপশনে স্যুইচ করার কথা ভেবে থাকেন। তবে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকা দরকার। যেমন কেন আপনার ইন্টারনেট স্লো হয়ে যাচ্ছে বা এর জন্য আপনার ফোনের কোনো সেটিংস দায়ী কিনা? যদি ডিভাইস সেটিংসে সমস্যা থেকে থাকে, তবে তা ঠিক করার একাধিক উপায় আছে। আর যদি প্রকৃতপক্ষেই ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য মোবাইল ডেটার স্পিড ধীর হয়ে যায়, তাহলে তাও ঠিক করা সম্ভব। এই প্রতিবেদনে আমরা কীভাবে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানো যায় তার কৌশলগুলি জানাবো।

আপনার ব্যবহৃত স্মার্টফোনটি ধীর পারফরম্যান্স কেন প্রদান করছে?

মোবাইল ইন্টারনেট স্লো কেন এই উত্তর খোঁজার আগে জানতে হবে যে, আমাদের ব্যবহৃত স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা কেন ধীর হয়ে যায়। অনেক সময় মনে হয় যে, আমাদের স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ধীর গতিতে কাজ করছে। কিন্তু এই স্লো পারফরম্যান্সের জন্য কোথাও কোথাও ইন্টারনেট দায়ী হলেও, ইন্টারনাল অ্যাপগুলির হাতও সমান ভাবে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার ডিভাইসে একসাথে অনেক অ্যাপ খুলেছেন এবং সেগুলো একত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করছে। এমত অবস্থায় ডিভাইসের স্পিড স্লো হওয়াই স্বাভাবিক।

দ্বিতীয় কারণটি খারাপ ইন্টারনেট কানেকশন হতে পারে। অর্থাৎ আপনি যদি এমন এলাকায় থাকেন যেখানে সেল টাওয়ারের সংখ্যা কম, কিন্তু ব্যবহারকারী তুলনায় অনেক বেশি। ফলে সেল টাওয়ারের উপর অত্যাধিক লোড পরায়, আপনি স্বাভাবিকভাবেই ফোনে খুবই দুর্বল সংযোগ পাবেন। এছাড়া, আপনার ফোনের সেটিং ভুলভাল থাকলেও ইন্টারনেট স্পিড ধীর হতে পারে। এক্ষেত্রে, আপনি ফোন সেটিংসে কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে পারেন।

ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে কী করতে হবে?

মোবাইল ক্যাশে ক্লিয়ার করুন :

ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর মোবাইলে থাকা ক্যাশে (Cache) ফাইল গুলিকে ক্লিয়ার বা ডিলিট করুন। কারণ, মোবাইলে যদি অত্যাধিক ক্যাশে ফোল্ডার জমে যায়, তাহলে তা ডিভাইস পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করে। আর সাথে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও ধীর করতে পারে।

ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করুন :

ফেসবুক, টুইটার এবং ইন্সটাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলি সর্বাধিক ডেটা ব্যবহার করে। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ডে এই অ্যাপগুলি একত্রে চলমান থাকলে এর প্রভাবে ইন্টারনেট স্পিড কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে এইসকল অ্যাপকে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ক্লিয়ার করে দিন। একই সাথে, আপনি আপনার মোবাইলের সেটিংস থেকে অ্যাপ সেটিংসে গিয়ে, অটো-প্লে এবং অটো-ডাউনলোড অপশন দুটিকে ডিজেবল বা অফ করে দিন। এরপর, ব্রাউজারে গিয়ে, ডেটা সেভ মোড এনাবেল বা অন করে দিন। এবার আপনার মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করুন :

নেটওয়ার্ক সেটিংসের সমস্যা একটি গুরুতর বিষয় যা ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে দেয়। তাই মোবাইল ইন্টারনেটের স্পিড বাড়ানোর জন্য আপনি নেটওয়ার্ক অপশন বদলাতে পারেন। এরজন্য ডিভাইস সেটিংস -এ চলে যান। এবার ‘Mobile network’ সেকশনের অধীনে ‘Network Settings’ নামক একটি বিকল্প পাবেন। এখানে থাকা ‘Automatic setting’ বা ‘Auto select’ অপশনটি বন্ধ করে ম্যানুয়ালি অপারেটর বেছে নিন এবং নেটওয়ার্ক সেট আপ করুন। এছাড়া, এই একই সেকশনের মধ্যে থাকা ‘preferred type of network’ লেখা বিকল্পটিতে ট্যাপ করে 4G/LTE অপশনটি বেছে নিতে পারেন, আরো ভালো ইন্টারনেট কানেকশন পাওয়ার জন্য।

APN সেটিংস ঠিক করুন :

APN ওরফে Access Point Network -এর সেটিংস ঠিক আছে কিনা তা অবশ্যই দেখে নিন। কারণ, এটির সেটিংস যদি ভুল থাকে তবে তার প্রভাবে ইন্টারনেট স্পিড কমে যাবে। প্রসঙ্গত, আপনি ম্যানুয়ালিও APN -এর সেটিংসকে ঠিক করতে পারেন। এছাড়া কাস্টমার কেয়ারে কল করেও সঠিক APN সেটিং করতে পারেন।

অটো-আপডেট অপশন বন্ধ করে দিন :

অটো-আপডেট অপশন এনাবল বা অন থাকলেও কিন্তু ইন্টারনেট স্পিড কমে যেতে পারে। কেননা, ইন্টারনেট চালু করলেই গুগল-প্লে অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট ডাউনলোড করতে শুরু করে দেয়। ফলে ডাউনলোডের জন্য অনেকটা ডেটা খরচ হয়ে যাওয়ার দরুন ইন্টারনেট স্পিড কমে যায়। তাই হাই-স্পিড ইন্টারনেট পেতে অটো-আপডেট মোডটিকে বন্ধ করে রাখুন।

ফোন রিস্টার্ট করুন :

আকস্মিক ইন্টারনেট স্পিড কমে গেলে, ডিভাইস সেটিংস ঠিক আছে কিনা এবং আর কতটা ডেটা অবশিষ্ট আছে তা আগে চেক করুন। যদি সব ঠিক থাকা সত্ত্বেও, ইন্টারনেট স্পিড যদি না বাড়ে তবে আপনার স্মার্টফোনটি রিস্টার্ট করুন। কেননা রিস্টার্ট করার পর ফোনে পুনরায় হাই-স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন ফিরে পেতে পারেন। আর যদি এতো কিছু করেও আপনি ভালো নেটওয়ার্ক সংযোগ না পান, তবে এটা পরিষ্কার যে আপনার টেলিকম অপারেটর আপনার এলাকায় ভাল পরিষেবা দিতে পারছে না। এমত পরিস্থিতিতে, আপনি অন্য টেলিকম অপারেটরে স্যুইচ করতে পারেন অথবা Wi-Fi মডেম ইনস্টল করার কথাও বিবেচনা করতে পারেন।

সঙ্গে থাকুন ➥