এক চার্জে চলবে 400 কিমি, ইলেকট্রিক বাইকে লং রাইডের স্বপ্নপূরণ করবে Classic Legends

প্রযুক্তির উন্নতির হাত ধরেই ভারতীয় গাড়ির বাজারে ক্রমশ সাবলীল হচ্ছে ইলেকট্রিক ভেহিকেল। ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্য করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারত। সেই কারণেই বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এই সুযোগে ক্রেতা ধরতে দূষণহীন ব্যাটারি গাড়ি আনছে বিভিন্ন সংস্থা। সেই তালিকায় এবার নাম লেখাতে চলেছে Jawa ও Yezdi ব্র্যান্ডের অধীনে মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য পরিচিত Classic Legends। তাদের প্রথম ইলেকট্রিক বাইক কবে লঞ্চ হতে পারে সেই বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক আশিষ সিং জোশী।

ভারতীয় গাড়ি নির্মাতা মাহিন্দ্রার অধীনস্থ ক্লাসিক লেজেন্ডস ২০১৮ সালে চেক রিপাবলিকের জনপ্রিয় মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী সংস্থা Jawa-কে ফিরিয়ে এনেছে ভারতে। এরপর ২০২২-এ একইভাবে তারা নিয়ে আসে Yezdi-কে। এমনকি ২০১৬-তে ব্রিটিশ মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড BSA-কে কিনে নিয়েছে তারা। এবার তাদের লক্ষ্য অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক বাইক।

জোশী বলেন, বর্তমানে ভারতে দুই চাকার ইলেকট্রিক ভেহিকেলের চার্জিং পরিকাঠামো কেবলমাত্র এন্ট্রি লেভেল মডেল অর্থাৎ যেগুলি ৫০ থেকে ১০০ কিমি পাড়ি দিতে পারে সেগুলির জন্যই উপযুক্ত। প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক টু-হুইলার যা এক চার্জে অনেক বেশি রাস্তা চলার ক্ষমতা রাখে তেমন চার্জিং পরিকাঠামো এখনও পর্যন্ত ভারতে গড়ে ওঠেনি।

তাঁর কথায়, আমরা ইতিমধ্যেই ইলেকট্রিক বাইক আনার কাজ শুরু করে দিয়েছি। বৈদ্যুতিক পণ্য তৈরির জন্য কভেন্ট্রি-তে আমাদের ব্রিটিশ সরকারের থেকে অর্থসাহায্য পেয়েছি আমরা। সেখানেই ইলেকট্রিক ভেহিকেল তৈরির সমস্ত কাজকর্ম সম্পাদন করা হচ্ছে।

ভারতে কোন সময় তাদের সংস্থা ইলেকট্রিক বাইক লঞ্চ করতে পারে সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জোশী বলেন, ” ইলেকট্রিক ভেহিকেলের দুনিয়ায় ভারত এই মুহূর্তে একেবারে প্রারম্ভিক পর্যায়ে রয়েছে। সঠিক পরিকাঠামো তৈরি হলেই আমরা ই-বাইক লঞ্চ করবো। বর্তমান চার্জিং পরিকাঠামো অনুযায়ী সাধারণভাবে শহরাঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করার মতো বাইক এবং স্কুটার যেগুলির রেঞ্জ মোটামুটি ভাবে ৫০-১০০ কিমির মধ্যে সেগুলি চালানো সম্ভব। যে সব ইলেকট্রিক বাইক যা ফুল চার্জে ৩০০ কিমি কিংবা ৪০০ কিমি পর্যন্ত পাড়ি দিতে সক্ষম। তার জন্য উপযুক্ত চার্জিং পরিকাঠামো এখনও চিন্তার বিষয়। তাছাড়া আমরা উচ্চশক্তি সম্পন্ন ব্যাটারিচালিত বাইক লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছি। এর জন্য হাই-ভোল্টেজ চার্জিং স্টেশনের প্রয়োজন।

সবশেষে তিনি যোগ করেন, “প্রতিটি বাইকপ্রেমীর ইচ্ছা থাকে যে তাদের বাইক নিয়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে অথবা পাহাড়-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে। যখনই এই সমস্ত জায়গায় চার্জের সঠিক পরিকাঠামো গড়ে উঠবে আমাদের ইলেকট্রিক বাইক তখনই বাস্তব রূপ পাবে।” তবে জাওয়া, ইয়েজদি, নাকি বিএসএ, কোন ব্র্যান্ডের অধীনে ক্লাসিক লেজেন্ডস ভারতে ই-বাইক আনবে, তা জানা যায়নি।