Artemis 1 launch: চাঁদে মানববসতি গড়ার স্বপ্নে ধাক্কা খেল নাসা, ২ সেপ্টেম্বর ফের রওনা দেবে আর্টেমিস-১

Avatar

Published on:

Nasa Artemis 1 launch aborted malfunctioning engine

চাঁদের মাটিকে মানুষের বসবাসযোগ্য করে তোলার সুদুরপ্রসারী চিন্তাকে সামনে রেখে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই NASA -র নয়া Artemis 1 অভিযানের সূচনা হতে চলেছে। আজ, ইতিমধ্যে এই অভিযান লঞ্চ হওয়ার কথা থাকলেও প্রযুক্তিগত ত্রুটির ফলে এই লঞ্চ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। যদিও আমাদের ধারণা সর্বপ্রকার ত্রুটি অতিক্রম করে খুব দ্রুত গন্তব্য চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে আর্টেমিস ১। সেক্ষেত্রে মার্কিন মুলুক থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে এই ভারতবর্ষের মাটিতে বসেও মহাকাশ সম্বন্ধে অনুসন্ধিৎসু আলোচ্য বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন। সেজন্য আগ্রহীদের ঠিক কি করতে হবে তা আমরা যথাসময়ে পাঠকের কাছে তুলে ধরবো।

প্রসঙ্গত বলে রাখা জরুরি, আজ ভারতীয় প্রমাণ সময় সন্ধে ৬:০৩ মিনিটে Artemis 1 লঞ্চের প্রারম্ভিক পর্যায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। এমনটা হলে তার দুই ঘন্টার ভেতর এতক্ষণে পৃথিবীর মায়া কাটাতো NASA’র এই মহাকাশযান। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে আর্টেমিস ১ -এর স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটের (SLS) ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় লঞ্চের সাফল্য ব্যাহত হয়। সেক্ষেত্রে আসন্ন ২রা সেপ্টেম্বর, শুক্রবার নাসা পুনরায় আর্টেমিস ১ লঞ্চের চেষ্টা চালাবে।

চাঁদে মানব-প্রতিরূপ, গাছের বীজ, ছত্রাক প্রভৃতি বহন করবে Artemis 1

আগেই বলেছি যে চাঁদে মানববসতি গড়ে তোলার সূচনা হিসেবেই নাসা আর্টেমিস ১ চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছে। এটিই নাসার নতুন স্পেস লঞ্চ সিস্টেম বা ‘SLS’ রকেট এবং ‘Orion’ মহাকাশযানের প্রথম পরীক্ষামূলক অভিযান। এর অঙ্গ হিসেবে এসএলএস রকেট ও ওরিয়ন স্পেসক্রাফ্ট ছয় সপ্তাহে, সর্বমোট ৬৫,০০০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে গন্তব্যে পৌঁছবে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ গবেষণার প্রয়োজনে বিজ্ঞানীরা আলোচ্য মহাকাশযানের সাথে আমাদের গ্রহের বেশ কিছু সামগ্রী প্রেরণ করছেন।

এক্ষেত্রে প্রথমেই জানিয়ে রাখি, উপরোক্ত ওরিয়ন মহাকাশযানের (Orion Capsule & Spacecraft) সঙ্গে NASA’র বিজ্ঞানীরা পরীক্ষামূলকভাবে ৩টি হিউম্যান ডামি বা মানব-প্রতিরূপ চাঁদে পাঠাচ্ছেন। এছাড়াও আলোচ্য স্পেসক্রাফ্টের সাথে সবমিলিয়ে ১০টি ক্ষুদ্রাকৃতি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে প্রেরণ করা হচ্ছে। সর্বোপরি জীববিদ্যাগত পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজনে চাঁদে পাঠানো হচ্ছে গাছের বীজ, ঈস্ট, ছত্রাক ও শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ। এখন NASA ‘র এধরনের উদ্যোগের ফলে ভবিষ্যতে চাঁদের মাটিতে সবুজ গাছপালার বিকাশ সম্ভব হয় কিনা সেকথা তো সময়ই বলবে।

সঙ্গে থাকুন ➥