5G-র বিকাশের দিকে আরও একধাপ, এবার রেলের জায়গাতে বসবে মোবাইল টাওয়ার

আজ থেকে প্রায় তিন মাস আগে দেশে 5G নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। তবে এই নতুন নেটওয়ার্কের উপলভ্যতা এখন প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, মানে বর্তমানে কেবল নির্বাচিত কিছু জায়গাতেই ব্যবহার করা যাচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের হাই স্পিড নেটওয়ার্ক। সেক্ষেত্রে Jio, Airtel-এর মত টেলিকম কোম্পানিগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভারতের প্রতিটি কোণায় 5G পরিষেবা পৌঁছে দেবে; এর জন্য তারা যে বেশ কোমর বেঁধে কাজ করছে, সে কথাও ইতিমধ্যেই শোনা গেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে সফলভাবে 5G চালু করার তথা টেলিকম পরিকাঠামো যথাযথভাবে বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কোম্পানিগুলিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল রেল মন্ত্রক। সম্প্রতি মিনিস্ট্রি অফ রেলওয়ে, প্রাইভেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডার সংস্থাগুলিকে রেলের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে (পড়ুন জায়গাতে) টেলিকম টাওয়ার স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। ফলত, 5G নেটওয়ার্ক বিকাশের জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলি প্রয়োজনে রেলের জায়গাতেও টাওয়ার বসাতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবেই রেল মন্ত্রকের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন বা DIPA।

রেলের জায়গায় টাওয়ার বসলে মিলবে এই ফায়দা

৫জি কভারেজ প্রসারিত করতে টেলিকম কোম্পানিগুলিকে বেশি সংখ্যায় টাওয়ার স্থাপন করতে হবে। সেক্ষেত্রে রেলের জায়গায় টাওয়ার স্থাপন করার সুবিধা পাওয়া গেলে সংস্থাগুলির জন্য সুবিধাই হবে। অন্যদিকে রেল পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোবাইল টাওয়ার থাকলে ট্রেনে ভ্রমণকারীরা আরও ভাল নেটওয়ার্ক পরিষেবা পাবেন। উল্লেখ্য, রেলওয়ের ৭০টি বিভাগ এখন স্টেশন প্রাঙ্গণ এবং অফিসগুলিতে ছোট সেল এবং পোল মাউন্ট স্থাপনের অনুমতি দেবে।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, ডিপিআইএয়ের ডিরেক্টর জেনারেল টি.আর. দুয়া বলেছেন – টেলিকম শিল্পের দীর্ঘদিনের ভাবনা ছিল যে তারা কীভাবে ট্রেন যাত্রীদের এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের আরও ভাল টেলিকম সংযোগ প্রদানে সহায়তা করবে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের জমির লাইসেন্স বেসরকারি কোম্পানিকে দেওয়ার এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপ টেলিকম টাওয়ার স্থাপনের জন্য সংস্থাগুলির খরচ কমিয়ে আনবে এবং সংযোগ বাড়াবে।

যারা জানেন না তাদের বলে রাখি, হালফিলে রেলওয়ের জমির ল্যান্ড লাইসেন্সিং ফি (LLF) নর্ম (নিয়ম) গুলি সহজ করা হয়েছে যাতে বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়ানো যায়। আর তারপরেই রেল মন্ত্রক টেলিকম সেক্টরের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।