মাইক্রোসফট কিনলেও রক্ষা নেই, আমেরিকায় TikTok ব্যান হবে জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

ভারতের পর আমেরিকাতেও ব্যান হতে চলেছে টিকটক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে মুখেই এই কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মলনে ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা আমেরিকা থেকে TikTok ব্যান করতে চলেছি। আগামী শনিবারের মধ্যে একটি অর্ডার পাশ করা হবে এবং প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমার হাতে সেই ক্ষমতা আছে”। প্রেসিডেন্টের ইমারজেন্সি ইকোনমিক ক্ষমতা অনুযায়ী তিনি একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডার পাশ করতে পারবেন, যার দ্বারা টিকটক অ্যাপটি ব্যান হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, Tiktok ও Microsoft কোম্পানির যুগলবন্দী তিনি খুব একটা পছন্দ করছেন না। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফট, টিকটকের আমেরিকান নিয়ন্ত্রক সংস্থা Bytedance কে কিনে নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিল।

২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে TikTok লঞ্চ করে চিনা সংস্থা বাইটডান্স। কিন্তু বর্তমানে চীনের আগ্রাসী মনোভাব ও বিভিন্ন দেশের জনতার ডেটা চুরির অভিযোগের জন্যে Tiktok অ্যাপকে অনেক দেশেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে দ্রুত চিনা সংস্থা বাইটডান্স-এর ভিডিও অ্যাপ TikTok-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে হোয়াইট হাউস। কারণ চিনা আইন অনুযায়ী, যেকোনো চিনা কোম্পানি তাদের যেকোন রকম তথ্য চীনা সরকার চাইলে তাদেরকে দিতে বাধ্য। এর ফলে অন্যান্য দেশের জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার জন্য টিকটকের বিকল্পের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

যদিও টিকটকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সম্পূর্ণ একটি স্বাধীন কোম্পানি এবং তারা কোনো অবস্থাতেই ব্যবহারকারীদের গোপন তথ্য চীনা সরকারকে দেয় না। চীনা সরকারের বিদেশমন্ত্রকের এক মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, তারা টিকটককে সম্পূর্ণ একটি স্বাধীন কোম্পানি হিসাবে দেখেন।

এর আগে ট্রাম্প ও তার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সদস্যরা আমেরিকায় করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য চীনকে দায়ী করেছিল এবং এর জন্য চীনকে শাস্তি পেতে হবে, এমনও বলেছিলো। Tiktok নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে আমেরিকা চীনকে সেই শাস্তি দিতে চাইছে হয়তো। অনেকে যদিও বলছে, দেশের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর সুরক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চিনা টিকটক অ্যাপটি বারবার ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এমতঅবস্থায় চিনা অ্যাপটির ভবিষ্যৎ কি হয় সেটা দেখার।