ভিতরের গল্প জানুন, Jio, Airtel, Vi কেন ৩০ দিনের বদলে মাসিক প্ল্যানে ২৮ দিন ভ্যালিডিটি দেয়

এমনিতে একমাস ৩০ দিনে হলেও, রিচার্জের ক্ষেত্রে দেশীয় টেলিকম অপারেটরদের মাস হিসেব ২৮ দিনের হয়ে থাকে। এর ফলে প্রিপেইড গ্রাহকরা কোনো মাসিক প্ল্যান বেছে নিলে, তাদের বছরে ১২ বারের বদলে ১৩ বার রিচার্জ করতে হয়। ব্যস্ত জীবনে অনেকেই বিষয়টি খেয়াল করেন না বা খতিয়ে দেখেন না, আবার অনেকেই ২৮ দিনের বৈধতা মেলায় সন্তুষ্টি বোধ করেন না। সেক্ষেত্রে যদি আপনার মনে প্রশ্ন থাকে যে কেন টেলিকম অপারেটররা তথাকথিত ‘মাসিক’ প্রিপেইড প্ল্যানগুলিতে ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি অফার করে, তাহলে আপনার জন্যই রইল আজকের এই প্রতিবেদন।

কেনো টেলিকম কোম্পানিগুলি ৩০ দিনের বদলে ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি দেয়?

টেলিকম সংস্থাগুলির এই ধরণের পদক্ষেপের পেছনে একটি বড় হিসেব কাজ করে। আদতে তারা ৩০ দিনের পরিবর্তে ২৮ দিনের বৈধতায় প্রিপেইড প্ল্যান অফার করে প্রচুর টাকা উপার্জন করে। কীভাবে? আসুন বিস্তারিত জেনে নিই।

এমনিতে ৩৬৫ দিন এবং ১২ মাসে এক বছর হলেও ২৮ দিন হিসেবে ১২ বার রিচার্জ করতে হলে সর্বমোট ৩৩৬ দিনের (১২ মাস×২৮ দিন) বৈধতা পাওয়া যায়। অর্থাৎ গ্রাহকদের বছরের বাকি ২৯ দিনের জন্য আরও একবার অর্থাৎ বছরে মোট ১৩ বার (২৮ দিন×১৩=৩৬৪ দিন) রিচার্জ করতে হয়, আর তাতেও একদিনের বেনিফিট কম মেলে।

সেক্ষেত্রে এই ১৩তম রিচার্জের মাধ্যমে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio), এয়ারটেল (Airtel) এবং ভোডাফোন আইডিয়ার (Vi) মতো টেলিকম অপারেটরগুলি কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে। শুনে অবাক হলেন? তাহলে বলি, ইউজার বেসের ভিত্তিতে ১৩তম রিচার্জের ক্ষেত্রে এই বছর এয়ারটেল প্রায় ৫,৪১৫ কোটি টাকা আয় করেছে (সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত গ্রাহকের হিসেবে)। অনুরূপভাবে জিও এবং ভোডাফোন আইডিয়া ১৩তম ‘মাসে’ আয় করেছে যথাক্রমে ৬,১৬৮ কোটি টাকা এবং ২,৯৩৪ কোটি টাকা৷

উল্লেখ্য, একই ধরণের গণনা তথাকথিত ত্রৈমাসিক পরিকল্পনাগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যা ৯০ দিনের পরিবর্তে ৮৪ দিনের বৈধতা অফার করে৷ আসলে ত্রৈমাসিক প্ল্যান বেছে নেওয়া গ্রাহকদের বছরে চার বারের বদলে আরো বেশি রিচার্জ করতে হয়, তবেই তারা বছরের বাকি ২৯ দিন পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন। সুতরাং কম বৈধতা, ট্যারিফ শুল্ক বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণ যে আখেরে গ্রাহকদের পকেটেই টান ফেলছে – তাতে কোনো সন্দেহ নেই!