স্বস্তি Apple, Samsung, HP সহ সমস্ত ল্যাপটপ, ট্যাবলেট নির্মাতাদের, আমদানি নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল কেন্দ্রের

সরকার এই প্রোডাক্টগুলির আমদানিতে লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না, তবে তাদের শিপমেন্টগুলি পর্যবেক্ষণ করবে

কয়েক সপ্তাহ আগে কেন্দ্র সরকার, পিসি (PC), ল্যাপটপ (Laptop) এবং ট্যাবলেট (Tablet) প্রভৃতি প্রোডাক্ট আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে গত মাসে জানা যায়, সরকার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে লাইসেন্স প্রদান করতে চাইছে। আর এখন এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকার এই প্রোডাক্টগুলির আমদানিতে লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না, তবে তাদের শিপমেন্টগুলি পর্যবেক্ষণ করবে।

সত্যি সত্যি সরকার যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় তবে Apple, Samsung, HP সহ ভারতে ল্যাপটপ আমদানিকারকরা সংস্থাগুলি অনেকখানি স্বস্তি পাবে। উল্লেখ্য, এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সরকার ঘোষণা করেছিল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং কম্পিউটার সহ অন্যান্য প্রোডাক্টগুলির ক্ষেত্রে নভেম্বর থেকে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া আরোপ করা হবে। তবে, পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাণিজ্য সচিব সুনীল ব্যর্থওয়াল বলেছেন, তার মতে ল্যাপটপ প্রভৃতি প্রোডাক্টে কোনো বিধি-নিষেধ নেই, কেবল তারা এই প্রোডাক্টগুলি আমদানির সময় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চান। এর সাথে বিধি-নিষেধের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রসঙ্গত, ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড DGFT সন্তোষ কুমার সারঙ্গি বলেছেন যে, ইমপোর্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে, আশা করা যায় আগামী ৩০শে অক্টোবরের আগেই তা সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং পয়লা নভেম্বর থেকে এই ইমপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে।

কেন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল?

সরকার বলেছিল যে, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট, মাইক্রো কম্পিউটার, বড় কম্পিউটার এবং কিছু ডেটা প্রসেসিং মেশিনের উপর এই বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কারণ, সরকার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাইছে। পাশাপাশি চীনের মতো দেশ থেকে আমদানি কমাতেও চাইছে।

এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে, আইটি হার্ডওয়ার ইন্ডাস্ট্রি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল যে, আমাদের দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং ও অ্যাসেম্বলিং ইউনিট তৈরি করতে যথেষ্ট সময় লাগবে। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রতিবছর ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলারের প্রোডাক্ট আমদানি করে থাকে। ভারতে প্রোডাক্টগুলি তৈরি হলে অনেক খরচ কমবে।