Nitin Gadkari: ২২ লক্ষ গাড়ি চালকের অভাব পূরণ করতে ৮০টি সরকারি ট্রেনিং সেন্টার খুলছে কেন্দ্র

গাড়ির চালকদের প্রতি এবার স্বহৃদয় কেন্দ্র। শীঘ্রই চালকদের কাজের সময়সীমা কমানো হতে পারে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) জানিয়েছেন, এদেশে গাড়ির চালকদের ১২-১৬ ঘন্টা কাজ করতে হয়। যা সত্যি অমানবিক পরিশ্রম! তবে এর জন্য মূলত তিনি দেশে অপর্যাপ্ত চালকের সংখ্যাকেই দায়ী করেছেন, বর্তমানে চালকদের ঘাটতির সংখ্যা প্রায় ২২ লক্ষ। আর এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য তিনি সমগ্র দেশে ৮০টি সরকারি ট্রেনিং সেন্টার খোলা হবে বলে জানালেন।

সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, গডকড়ী ভারতে গাড়ির চালকদের দুর্দশার দিকটি আলোকপাত করেছেন। পাশাপাশি তিনি ইউরোপের চালকদের সূত্র ট্রেনে বলেছেন, যেখানে সেখানকার চালকরা কেউ ৮ ঘন্টার বেশি গাড়ি চালান না, সেখানে ভারতীয় চালকদের কাজ করতে হয় ১২-১৬ ঘন্টা। এমনকি দেশীয় চালকদের কখনো ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও গাড়ি চালাতে হয়। যেখানে সেই সব ট্রাকের কেবিনে কোনো বাতানুকূল পরিবেশ থাকেনা বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরো যোগ করেছেন, “দেশে প্রতি বছর ১.৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় পথ দুর্ঘটনায়, যার মধ্যে বেশিরভাগ পথচারীর বয়স ১৮-২৫ বছরের মধ্যে।”

অতীতেও কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রীকে একাধিকবার ভারতের রাস্তায় পথ দুর্ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সেই সংখ্যাটি কমাতেই এবার তিনি দেশের তালুক স্তরে কমপক্ষে ৮০টি ট্রেনিং সেন্টার খোলার কথা বললেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “ভারতের রাস্তায় পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে হলে আমাদের আরও অধিক সচেতন হতে হবে। দেশের রাস্তায় ব্ল্যাক স্পট (দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা)-গুলি মেরামত করতে হবে। আর এজন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ১৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে মন্ত্রক।”

প্রসঙ্গত, এই সম্পূর্ণ প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য যাতে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা আগামী ২০২৫-এর মধ্যে ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা যায়। এছাড়াও ট্রেনিং কেন্দ্রগুলি থেকে চালকদের আরো সচেতন এবং সুরক্ষিতভাবে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দেশের সকল গাড়ি চালক সচেতন হলেই পথ দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব বলে নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) জানিয়েছেন।