Activa, Jupiter সব ফেল, দুর্ধর্ষ এই স্কুটার দেখলে ছুটে গিয়ে চালাতে ইচ্ছা করবে

সারা বিশ্বে ম্যাক্সি স্কুটারের বাজার ক্রমশই পাকাপোক্ত হচ্ছে। ভারতেও বাড়ছে জনপ্রিয়তা। সংশ্লিষ্ট সেগমেন্টে এদেশে Yamaha Aerox স্কুটারটি বিক্রি হয়। ডিজাইন ও পারফরম্যান্সের কারণে ভারতের পাশাপাশি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এটি ক্রেতাদের ভালোবাসা আদায় করে নিয়েছে। এবার ইয়ামাহা এরোক্স-কে টেক্কা দিতে তাইওয়ানের সংস্থা কিমকো (Kymco) তাদের Dink 150 ম্যাক্সি-স্কুটারের আপডেট ভার্সন লঞ্চ করল।

Kymco Dink 150 মোট দুটি ভ্যারিয়েন্টে ইউরোপে উপলব্ধ – Flat ও Tunnel R। নামের সাথে মিল রেখে প্রথম মডেলটিতে রয়েছে ফ্ল্যাট ফ্লোরবোর্ড। ফলে এতে বেশি মালপত্র বহন করা যাবে। আর দ্বিতীয়টিতে সেন্টার স্পাইনের দেখা মিলেছে। আকার আকৃতি ও ডিজাইনের দিক থেকে এটি ইয়ামাহা অ্যারোক্স-কে অনুসরণ করেছে।

Kymco Dink 150 : ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

Dink 150-এর দুই মডেলই একই প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এতে এগিয়ে চলার শক্তি জোগাতে উপস্থিত একটি ১৫০ সিসি লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ বিএইচপি ক্ষমতা এবং ১৩.৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। তুলনাস্বররূপ, Yamaha Aerox-এর ১৫৫ সিসি ইঞ্জিন থেকে ১৪.৭ হর্সপাওয়ার এবং ১৩.৯ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। কাজেই দুই স্কুটারের ক্ষমতা প্রায় সমান বলা যায়। তবে এরোক্স সামান্য এগিয়ে।

হার্ডওয়্যারের প্রসঙ্গে বললে, Kymco Dink 150 এর সামনে ও পিছনে ১৩ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল বর্তমান। সাসপেনশনের জন্য রয়েছে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং ডুয়েল স্প্রিং। বেকিং এর দায়িত্ব পালন করতে সামনে ও পেছনে কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম সহ সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক পাওয়া যাবে।

Kymco Dink 150 : ডিজাইন

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে Kymco Dink 150-এর আক্রমণাত্মক ডিজাইন। সংস্থার অন্যান্য স্কুটির মতো এটিও পেশীবহুল দেহের অধিকারি। সামনে একটি বৃহৎ ও অ্যাঙ্গুলার অ্যাপ্রনের সাথে দীর্ঘ উইন্ড স্ক্রিন উপস্থিত। আবার এর সিটটিও বেশ লম্বা চওড়া। ফিচারের তালিকায় রয়েছে কিলেস ইগনিশন সিস্টেম, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, ফুল এলইডি লাইটিং এবং থ্রি-পড ফুল ডিজিটাল কনসোল।