গাড়ির ভিতরে সেলফি ক্যামেরা! আছে ভিডিয়ো গেমও, Mercedes-Benz এর নয়া মডেলে চমক

বিলাসবহুল গাড়ির কিংবদন্তি সংস্থা মার্সিডিজ-বেঞ্জ (Mercedes-Benz) তাদের E-Class লাক্সারি সেডানের অত্যাধুনিক মডেল সামনে আনল। গাড়িটির ইতিহাসে এটাই সবথেকে আধুনিক এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত। ষষ্ঠ প্রজন্মের Mercedes-Benz E-Class অনেকেই বেবি S-Class হিসেবেও অভিহিত করেছেন। এ বছরের শেষার্ধ থেকে ইউরোপের বাজারে গাড়িটির বিক্রি শুরু হবে। আর সামনের বছর নতুন E-Class ভারতেও হাজির হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Mercedes-Benz E-Class ফিচার্স

নতুন মার্সিডিজ-বেঞ্জ ই-ক্লাস-এ দেওয়া হয়েছে অসংখ্য ডিজিটাল আপগ্রেড। যার মধ্যে অন্যতম MBUX। সিস্টেমটি দুটি ভার্সনে অফার করা হয়েছে – MBUX Multimedia Premium ও MBUX Multimedia Premium Plus। ড্যাশবোর্ডে রয়েছে একটি ১২.৩ ইঞ্চি ইন্সট্রুমেন্ট ডিসপ্লে এবং ১৪.৪ ইঞ্চি পোর্ট্রেট-স্টাইল ইনফোটেনমেন্ট ডিসপ্লে। এছাড়া যাত্রীদের জন্য ডিজিটাল স্ক্রিন অফার করা হয়েছে।

বিনোদনের জন্য এতে TikTok, Angry Bird ও Zoom-এর মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলি উপলব্ধ রয়েছে। সেলফি এবং ভিডিও ক্যামেরাও রয়েছে ভেতরে। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে iPhone ও Apple Watch স্মার্টফোনের মাধ্যমে লক এবং আনলক করার সুবিধা উপলব্ধ।

Mercedes-Benz E-Class ইঞ্জিন

মার্সিডিজ তাদের এই নতুন ই-ক্লাস গাড়িটি পেট্রোল এবং ডিজেল – উভয় পাওয়ারট্রেন বিকল্পে এনেছে। একটিতে আছে ২.০ লিটার ফোর সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ২০৪ এইচপি এবং ৩২০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। আবার ইলেকট্রিক মোটর যুক্ত ই-ক্লাস ৩০০ থেকে ১২৯ এইচপি এবং ৪৪০ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্ল্যাক ইন হাইব্রিড সিস্টেমটি সম্মিলিতভাবে ৩১৩ এইচপি এবং ৫৫০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করবে। এটি ফোর-হুইল ড্রাইভ সহ বেছে নেওয়া যাবে। সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে গাড়িটি পিওল ইলেকট্রিক মোডে ফুল চার্জে ১০০ কিলোমিটার রেঞ্জ অফার করবে।

অন্যদিকে E-Class 400 e 4Matic একটি ২.০ লিটার ইঞ্জিন সমেত আসবে। যার আউটপুট ২৫২ এইচপি এবং ৪০০ এনএম। ইলেকট্রিক মোটর থেকে ১২৯ এইচপি শক্তি এবং ৪৪০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। প্লাগ-ইন হাইব্রিড মডেলটির সার্বিক আউটপুট ৩৮১ এইচপি এবং ৬৫০ এনএম।

আবার, Mercedes-Benz E-Class 220d-এর ২.০ লিটার, ফোর সিলিন্ডার ডিজেল ইঞ্জিন থেকে ১৯৭ এইচপি এবং ৪৪০ এনএম টর্ক উৎপাদিত হবে। মার্সিডিজ তাদের এই গাড়িটিতে একাধিক সুরক্ষা ফিচার অফার করেছে। যেমন চালকবিহীন পার্কিংয়ের জন্য এতে দেওয়া হয়েছে চতুর্থ পর্যায়ের অ্যাডাস (ADAS) টেকনোলজি।