Smartphone Tips: ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হচ্ছে? এই উপায়ে ব্যাটারি লাইফ বাড়ান

নতুন কোনো ফোন কেনার কথা ভাবলে লেটেস্ট প্রসেসর, ক্যামেরার গুণমান, ভালো সাউন্ড কোয়ালিটির পাশাপাশি সেই ফোন দীর্ঘক্ষণ (long-lasting) ব্যাকআপ দেবে কি না, সে কথাটিও কিন্তু আমাদের মাথায় থাকে। আর নিঃসন্দেহে স্মার্টফোনের দীর্ঘস্থায়ী আয়ুষ্কালের অন্যতম কার্যকর প্যারামিটার হল তার ব্যাটারি। ব্যাটারি ভালো থাকলে স্মার্টফোনকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখা সম্ভবপর হয়। তাই বর্তমানে স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থাগুলি অত্যাধুনিক ফিচারের পাশাপাশি হ্যান্ডসেটের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি বাড়ানোর দিকে যথেষ্ট মনোনিবেশ করেছে। ফলে এখনকার বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই ৫,০০০ বা ৬,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির বড়ো ব্যাটারি পাওয়া যায়।

কিন্তু এত শক্তিশালী ব্যাটারি থাকা সত্ত্বেও অনেকসময় দেখা যায় যে ফোনের ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যাটির জন্য গেমিং, ওয়েব মিটিং, ই-লার্নিং, বা মুভি ডাউনলোডের মতো কাজগুলি বিশেষভাবে দায়ী হলেও, এগুলি ছাড়াও বেশ কিছু ছোটোখাটো কারণেও ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হতে পারে। তাই আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের এমন ৫টি টিপস জানাবো, যেগুলিকে অনুসরণ করার মাধ্যমে ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফকে কিছুটা হলেও বুস্ট করা যাবে। তাহলে আসুন, স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর ৫ টি উপায় জেনে নেওয়া যাক।

মোবাইল ফোনের ব্যাটারি লাইফ কিভাবে বাড়াবেন

১. ভাইব্রেশন মোড অফ রাখুন

টাইপ করার সময় বা কোনো কল বা মেসেজের নোটিফিকেশনের জন্য অনেকেই ফোনে ভাইব্রেশন মোড অন রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, ফোন রিং হওয়ার চাইতে ভাইব্রেট হলে কিন্তু ব্যাটারি বেশি পরিমাণে ক্ষয় হয়। তাই আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফকে বাড়ানোর জন্য ফোনের ভাইব্রেশন মোডকে অফ রাখুন।

২. ব্ল্যাক ওয়ালপেপার রাখা যেতে পারে

আশ্চর্যজনক তথা অবিশ্বাস্য হলেও ব্ল্যাক ওয়ালপেপার আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফকে বাড়াতে সক্ষম! যদি আপনার স্মার্টফোনে অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকে, তাহলে ডার্ক ওয়ালপেপার ব্যবহার করে আপনার ফোনের ব্যাটারিকে দীর্ঘস্থায়ী করা যেতে পারে। এর কারণ হল – অ্যামোলেড ডিসপ্লের পিক্সেলগুলি কেবল উজ্জ্বল রঙগুলি আলোকিত করতে ব্যাটারি পাওয়ার ব্যবহার করে। তাই ডার্ক ডিসপ্লের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাটারি খরচ হয় না। আরও সোজা ভাষায় বললে, আপনার ফোনের ওয়ালপেপার যত ব্রাইট হবে তত বেশি ব্যাটারি খরচ হবে। তাই ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর জন্য ব্ল্যাক ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন।

৩. কাজে না লাগলে এই ফিচারগুলিকে অফ রাখুন

আমরা সবাই জানি যে, Bluetooth, GPS, Wi-fi, মোবাইল ডেটা (এবং অবশ্যই আপনার ইন্টারনেট শেয়ার করার জন্য হটস্পট) একটি স্মার্টফোনের বেশ কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের মধ্যে পড়ে। সেইসাথে আপনার ফোনের ব্যাটারি ড্রেনেজের ক্ষেত্রেও এই ফিচারগুলির বিশেষ অবদান থাকে। তাই যদি ব্যবহার না করা হয়, তাহলে এই ফিচারগুলিকে অফ রাখুন, অযথা এগুলিকে অন করে রাখবেন না। পাশাপাশি আপনার ফোনের ব্যাটারি লো থাকলে সেই সময়ে ব্যাটারি সেভ মোড বা এয়ারপ্লেন মোড অন রাখলেও ব্যাটারি লাইফ বেশ কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে।

৪. Auto sync টার্ন অফ করুন

Gmail, Twitter, WhatsApp সহ আরও অনেক অ্যাপ লেটেস্ট আপডেটগুলি অফার করার উদ্দেশ্যে (ক্রমাগত রিফ্রেশ করার জন্য) ডেটা Auto sync করে। এছাড়াও বেশ কিছু অ্যাপ মারফত ব্যাক-এন্ডে আপনার স্মার্টফোনে একাধিক কাজ চলতে থাকে, যার জন্য আপনার ফোনের ব্যাটারি খরচ হয়ে যায়। তাই আপনি যদি Auto sync অফ করে রাখেন, তাহলে ব্যাটারি লাইফ বেশ কিছুটা বাড়ানো যাবে। এর জন্য আপনাকে Settings-এ গিয়ে Google account এবং তারপরে সেই সমস্ত অ্যাপগুলির Auto sync টার্ন অফ করতে হবে যেগুলির থেকে আপনার সবসময় ইনফর্মেশন পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

৫. অন-স্ক্রিন উইজেট ব্যবহার করবেন না

ডিসপ্লেতে একসাথে একাধিক ইনফর্মেশন পাওয়ার জন্য উইজেট অনেকেরই পছন্দের। কিন্তু জেনে রাখবেন, এটি ব্যাপক হারে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি ক্ষয় করে। তাই ব্যাটারির আয়ুষ্কাল বাড়াতে স্মার্টফোনের অপ্রয়োজনীয় উইজেটগুলিকে ডিলিট করে দিন।