Royal Enfield: ব্যবসা ক্রমশ প্রাক-অতিমারি পর্বে ফিরছে, বুকিং দেখে আশাবাদী রয়্যাল এনফিল্ড

২০২০ থেকে করোনার করাল আবহে ভারতের অর্থনীতির চাকা থমকে গিয়েছিল। ফলে দেশের গাড়ি শিল্প ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। যার রেশ দীর্ঘদিন স্থায়ী হলেও এ বছর থেকে সেই চিত্রটি ক্রমশ বদলাতে শুরু করেছে। দেশের অন্যতম টু-হুইলার প্রস্তুতকারী রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) তেমনই ইঙ্গিত দিল। গত বছর চেন্নাইয়ের সংস্থাটি ৫,৫১,০০০টি বাইক বিক্রি করতে পেরেছিল। শুনলে অবাক হতে হয়, করোনা অতিমারি আসার এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে এই Royal Enfield-এর বিক্রিবাটার পরিমাণ ছিল ৮,৩৮,০০০। সেই সংখ্যাটি ২০১৯ ও ২০২০-তে যথাক্রমে ৬,৯১,০০০ ও ৫,৪০,০০০-এ সঙ্কুচিত হয়

এই প্রসঙ্গে রয়্যাল এনফিল্ড-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বি গোবিন্দরজন (B Govindarajan) বলেন, “বুকিংয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমরা প্রাক-মহামারীর পর্যায় কাছাকাছি রয়েছি। কিন্তু বর্তমানে সেমিকন্ডাক্টর চিপের অপ্রতুলতার কারণে আমরা ডেলিভারি দিতে পারছি না।” তিনি উল্লেখ করেন, ৩৫০-৬৫০ সিসির মিড-ইঞ্জিন সেগমেন্টের মোটরসাইকেলের চাহিদা আবার আগের হারানো জমি ফিরে পাচ্ছে। তাঁর কথায়, “গত দু’মাস ধরে আমরা দেশের গ্রামাঞ্চলগুলি থেকেও চাহিদায় আধিক্য দেখতে পাচ্ছি।”

কিন্তু সেমিকনডাক্টর চিপের আকালের জন্য বাইক ডেলিভারি করতে সংস্থাটিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বলে তিনি একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন। “যদি চিপের আকাল না চলত তবে আমরা আরো বেশি মোটরসাইকেল বিক্রি করতে পারতাম। যে কারণে যে সমস্ত গ্রাহকরা মোটরসাইকেল বুক করে অপেক্ষা করছেন, তাদের সাথে আমরা নিত্য যোগাযোগ রাখছি”, বলে মন্তব্য করেন গোবিন্দরজন।

আবার এই সেমিকনডাক্টর চিপের আকালের কারণও তিনি ব্যাখ্যা করেন। এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “প্রবল শৈত্য প্রবাহের কারণে টেক্সাসে চিপের কারখানা ২০২১-এর প্রথমদিকে বন্ধ হয়ে যায়। আবার ২০২১-এর মাঝামাঝিতে চীনের রেনেসাস ইলেকট্রনিক্স চিপের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড হয় এবং মালয়েশিয়াতে কোভিড-১৯-এর বাড়বাড়ন্ত দেখা দেয়।” তবে তিনি জানান, যদি এবছর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় এবং ৫জি নেটওয়ার্ক গ্রহণের গতি ত্বরান্বিত না হয়, তবে সেমিকনডাক্টর চিপের লভ্যতা আগের থেকে ভালো হবে।