EV Testing Standard: জীবন নিয়ে আর ছিনিমিনি নয়, ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন লাগার ঘটনায় কড়া হচ্ছে কেন্দ্র, এ মাসেই নতুন নিয়ম জারি

গত মার্চ মাস থেকে ভারতে একের পর এক বৈদ্যুতিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ড কার্যত কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। ই-স্কুটারে বিস্ফোরণের ফলে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া গেলেও, তরতাজা প্রাণ চলে যাওয়ায় পরিবার পরিজনদের অবর্ণনীয় অভাব মেটানো অসম্ভব। এই পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করে ত্রুটি থাকলে নির্মাতাদের বাজার থেকে ব্যাচ ধরে স্কুটার প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে। এহেন অনভিপ্রেত অঘটন ভবিষ্যতে এড়াতে ইলেকট্রিক টু-হুইলারের আরও কঠোর পরীক্ষার প্রস্তাব দেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্র তাতে সহমত পোষণ করেছে। সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত বিধি চলতি মাসের শেষের দিকে জারি করা হতে পারে।

এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কয়েকজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন। ইলেকট্রিক ভেহিকেল পরীক্ষার মাপকাঠির চূড়ান্ত রিপোর্ট চলতি মাসেই কেন্দ্রকে জমা করবে দলটি। যার ওপর ভিত্তি করে নির্দেশিকা জারি করবে কেন্দ্র। ফলত বাজারে দুই ও চার চাকা বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চের আগে তাদের গুণগত মান খতিয়ে দেখা হবে। নির্দেশিকায় উল্লেখিত মাপকাঠির সাথে মিললে তবেই বাজারে লঞ্চের অনুমতি পাবে সেগুলি।

এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে অগ্নিকাণ্ডের সাথে জড়িত ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। ধরে ধরে শো-কজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলিকে। কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, মোদি সরকার চাইলে সংস্থাগুলির কাছে ব্যাটারি সেল এবং তাদের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য চাইতে পারে। ফলে যন্ত্রাংশের দেশি-বিদেশি সূত্র সম্পর্কে কেন্দ্রের সামনে বিস্তারিত তথ্য পেশ করতে বাধ্য থাকবে সংস্থাগুলি।

কেন্দ্র বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরির সংস্থাগুলিকে ইউএন ৩৮.৩ (UN 38.3) রিপোর্ট দাখিল করার জন্য বলতে পারে। যেখানে পরিবহনের জন্য লিথিয়াম সেল অথবা ব্যাটারির চাপ ও উষ্ণতা সহ্য করার ক্ষমতা, ক্র্যাশ, প্রভাব সহ যাবতীয় তথ্য উল্লেখ থাকবে। এমনকি রিপোর্টে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্দেশিকায় সরকার একটি তৃতীয় পক্ষের অডিট সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে পারে, যারা বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারি এবং বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশগুলি আদৌ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অটোমোটিভ টেকনোলজি (ICAT) এবং অটোমেটিক রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (ARAI)-তে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কিনা তা দেখবে। মোদ্দা কথায় গতিবেগ বাদে ইলেকট্রিক গাড়ির যাবতীয় কার্যকলাপ খতিয়ে দেখা হবে।