অবশেষে Himalayan 450-এর লঞ্চের তারিখ প্রকাশ করল Royal Enfield, থাকছে বহু চমক

লাদাখ ভ্রমণ তথা অ্যাডভেঞ্চার মানেই সঙ্গী রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)। অভিজ্ঞ রাইডাররা এমনটাই বলেন। চড়াই-উতরাই ও খানাখন্দে ভরা পাথুরে বা মেঠো পথ বিক্রমের সাথে এগিয়ে চলতে এনফিল্ডের মোটরসাইকেলের ভরসা রাখেন। চাহিদা মেটাতে সংস্থা ক’বছর আগে Himalayan 411 মতো অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল লঞ্চ করেছে। কিন্ত বাইকটির পাওয়ার কম থাকায় আরেকটু বেশি সিসির অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল লঞ্চের দাবি উঠছিল। যা পূরণ করতে এবার আসতে চলেছে Royal Enfield Himalayan 450। লঞ্চের দিনক্ষণও এবার প্রকাশ হয়েছে।

Royal Enfield Himalayan 450 নভেম্বরে লঞ্চ হবে

এই নিয়ে Himalayan 450-এর দ্বিতীয় অফিশিয়াল টিজার ভিডিও প্রকাশ করল সংস্থা। যেখানে বরফাবৃত ও পাহাড়ি রাস্তায় রাজকীয় মেজাজে বাইকটিকে চলাতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ধরেই বাইকটির লঞ্চের প্রসঙ্গে নানান জল্পনা দানা বেঁধেছিল। অবশেষে অসংখ্য আগ্রহী ক্রেতার প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছে রয়্যাল এনফিল্ড। জানা গিয়েছে ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর মিডিয়া ড্রাইভের আয়োজন করেছে সংস্থা। সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ হতে পারে Royal Enfield Himalayan 450।

বলাই বাহুল্য আসন্ন Himalayan 450 সংস্থার লাইনআপে Himalayan 411-এর উপরে স্থান পাবে। আসলে অল্প সময়ে Himalayan 411-এর ব্যাপক চাহিদা দেখে এবারে আরও বড় ইঞ্জিন সমেত হিমালয়ান আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড। তবে ৪১১ সিসির মডেলের ওজন এবং ইঞ্জিন সংক্রান্ত সমস্যার পুনরাবৃত্তি Himalayan 450-এ যাতে না ঘটে, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে।

Himalayan 450, সিঙ্গেল সিলিন্ডার হলেও লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন পেতে চলেছে। সংস্থার ইতিহাসে এই প্রথম কোন বাইক এই বৈশিষ্ট্য সমেত হাজির হবে। যদিও ইঞ্জিনের আউটপুট সম্পর্কে কোন তথ্য সামনে আসেনি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এটি থেকে ৪০-৪৫ বিএইচপি শক্তি এবং ৪০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হতে পারে। বাইকটি যাতে এবড়ো-খেবড়ো রাস্তাতেও সাবলীলতা দেখাতে পারে, সেজন্য এতে লো ও মিড এন্ড গ্রান্ট অনুযায়ী ইঞ্জিনটি টিউন করা হচ্ছে। গতির সাথে তাল মেলাতে থাকছে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স।

প্রসঙ্গত, Himalayan 411-এর ৪১১ সিসি, লং-স্ট্রোক পাওয়ারট্রেন থেকে ২৫ বিএইচপি ক্ষমতা এবং ৩২ এমএম টর্ক পাওয়া যায়। সঙ্গে উপলব্ধ ফাইভ স্পিড গিয়ার। Himalayan 411-এর মতো ডিজাইন ল্যাঙ্গুয়েজ Himalayan 450-এও দেখা মিলবে। যেমন সামনে বড় উইন্ডস্ক্রিন ও পাখির ঠোঁটের ন্যায় ফ্রন্ট গার্ড। আবার পড়ে যাওয়ার ফলে ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে এতে থাকছে এক্সটার্নাল কেজ। অনুমান করা হচ্ছে, রাইডাররা নতুন মডেলে ‘জেরি ক্যান’ সংযুক্ত করতে পারবেন।

সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে Himalayan 450-এ থাকছে ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক এবং রিয়ার মোনোশক সাসপেনশন। সুইচেবল এবিএস সহ উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। নতুন সার্কুলার ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার সহ সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স থাকবে। নতুন ফিচার সংযোজনের ফলে Himalayan 411-এর তুলনায় ৪৫০-এর মূল্য বেশ কিছুটা বেশি পড়বে বলেই ধারণা। দাম ২.৫০ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হতে পারে। যেখানে Himalayan 411-এর মূল্য ২.১১ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।