তেল ভরানোর সময় শুধু মিটারে নজর? পেট্রল পাম্পে গিয়ে এই 5 ভুল করলে নিশ্চিত ঠকবেন

দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দুর্নীতির মতই পেট্রোল পাম্পে প্রতারণাও ব্যাপক হারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে ক্রেতাদের চোখের আড়ালে অসৎ পন্থা অবলম্বনে অসাধু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে পেট্রোল পাম্পের মালিকেরা। অনেক সময় কর্মচারীরাও এসব দুর্নীতিমূলক কাজে জড়িত থাকে। কখনো প্রয়োজনের তুলনায় কম পেট্রোল দিয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা, আবার কখনো সম্পূর্ণ পরিমাণে তেল না ভরা। পেট্রোল বা ডিজেল ভরানোর সময় আমরা শুধু মিটারে নজর দিয়ে থাকি। কিন্তু তখন আমাদের অলক্ষ্যেই ঘটে যেতে পারে বড় কারচুপি। তাহলে পাম্পে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচবেন কী করে? চলুন এই পাঁচ পয়েন্টের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক।

পেট্রোল পাম্পে ঠকে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচার টিপস-

মিটার যেন জিরোতে থাকে:

পেট্রোল ভরতে শুরু করার আগে সর্বদা পেট্রোল পরিমাপক মিটারের দিকে লক্ষ্য করা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে যাতে শুরুতে এই মিটারে ভেসে ওঠা ডিজিট শূন্য থাকে। অর্থাৎ জ্বালানি পরিমাপ নিখুঁত করার জন্যে নিশ্চিত হতে হবে যাতে শূন্য থেকেই গণনা যাতে শুরু হয়। নজর রাখুন যাতে দায়িত্বে থাকা কর্মচারী অবশ্যই প্রথমে মিটারটিকে রিসেট করে নেয়।

প্রয়োজনের তুলনায় কম জ্বালানি দেওয়ার কৌশল থেকে বাঁচুন:

পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি ভরার সময় তুলনামূলক উচ্চ অংক থেকে গণনা শুরু করা হস অনেক ক্ষেত্রে। ধরে নেওয়া যাক আপনি ৫০০ টাকার তেল ভরতে চেয়েছেন কিন্তু পেট্রোল পাম্পে ২০০ টাকা থেকে গাড়ির ট্যাংক ভর্তি করা শুরু করল। আবার পরে অবশ্য মিটার টিকে রিসেট করার ভান করে থাকে এরা। কখনো আবার ক্রেতাকে অমনোযোগী করে দিয়ে গাড়িতে জ্বালানি ভরা শুরু করে। এক্ষেত্রে রিসিপ্টে সই করা বা টায়ারের প্রেসার চেক করার কথা বলে ক্রেতার মনোসংযোগ বিঘ্ন করার চেষ্টা করা হয়। এই ব্যাপারে সাবধান থাকবেন।

জ্বালানির পরিমাপ খুঁটিয়ে দেখা:

যদি আপনার মনে হয় যে ন্যায্য মূল্য দিয়েও প্রয়োজন মাফিক পেট্রোল আপনার গাড়িতে ভর্তি করা হয়নি তাহলে মাপনী চোঙের সাহায্য নিতে পারেন। যদি মাপনী চোঙ দ্বারা উপযুক্ত পরিমাণ তেল না পাওয়া যায় তাহলে বোঝা যাবে আপনাকে সঠিক পরিমাণে জ্বালানি দেওয়া হয়নি।

চেনা-জানা পেট্রোল পাম্পের ব্যবহার:

আপনার গাড়ির ট্যাঙ্ক নির্দিষ্ট সময় অন্তর জ্বালানি দ্বারা ভর্তি করতে অবশ্যই চেষ্টা করুন এমন কোন পেট্রোল পাম্পে যেতে যার বিরুদ্ধে কোন অসাধু ব্যবসার অভিযোগ নেই। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিশেষভাবে যখন আমরা নতুন জায়গায় যা”। সাধারণত শহরের মধ্যে বড় রাস্তার পাশে থাকা ভীড় থাকা পেট্রোল পাম্পে এমন প্রতারণার ঘটনা তুলনামূলক কম। অপরদিকে ফাঁকা জায়গায় অবস্থিত এবং কম কর্মচারী পেট্রোল পাম্পে অসাধু ব্যবসার ফাঁদে ফেঁসে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। উপরন্তু জ্বালানির মূল্য অবশ্যই জানা প্রয়োজন। তার সাথে নজর রাখতে হবে যাতে পেট্রোল পাম্পও একই মাসুল নেয় আপনার কাছ থেকে।

পাওয়ার পেট্রোলের ব্যবহার:

কখনো দেখা যায় গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই কর্মচারীরা অতিরিক্ত মূল্যের পাওয়ার পেট্রোল দিয়ে গাড়ির ট্যাংক পূর্ণ করে। সাধারণত অতিরিক্ত অক্টেন পাওয়ার পেট্রোলে থাকায় এর মূল্য খানিকটা বেশি হয়। যদিও পাওয়ার পেট্রোল ব্যবহার করলে সাধারণ ইঞ্জিনের মাইলেজে তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না। কিন্তু অসাধু কর্মচারী নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এমন পদ্ধতিতে বেশি মূল্য দাবি করতে পারে।