WhatsApp গ্রুপের অ্যাডমিনরা এই ৫টি বিষয় মাথায় রাখুন, অন্যথায় যেতে হতে পারে জেল

এখনকার দিনে হাতে স্মার্টফোন নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর হাতে স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও তাতে WhatsApp (হোয়াটসঅ্যাপ) নেই, এমন মানুষের দেখা মেলা প্রায় অসম্ভব বললেই চলে! বর্তমান জেটগতির যুগে Meta মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার কথা আমাদের কারোরই অজানা নয়, যার অন্যতম মূল কারণ হল প্ল্যাটফর্মটিতে উপলব্ধ একাধিক কার্যকর ও মজাদার ফিচার। কারোর সাথে যোগাযোগ করতে হলে বা কাউকে কিছু বলার প্রয়োজন পড়লে কল বা মেসেজ করার চাইতে এখন ইউজাররা ঝটপট হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ টাইপ করে বা ভয়েস মেসেজ রেকর্ড করে সেন্ড করে দেয়।

আরও উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, কেবলমাত্র শুধু একজনের সাথেই চ্যাট নয়, বরং বেশ কিছু লোক মিলে গ্রুপ বানিয়ে একসাথে অনেকজনে মিলে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং-ও এখনকার দিনে বেশ জনপ্রিয়। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি। এক বা একাধিক ব্যক্তি গ্রুপ অ্যাডমিন হিসেবে কাদের নিয়ে গ্রুপটি তৈরি হবে, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেন এবং তাদের সকলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে তৈরি করেন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই হর্তাকর্তা-বিধাতা হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ অ্যাডমিনদের গ্রুপকে অপারেট করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু অতিরিক্ত ক্ষমতা রয়েছে।

তবে শুধু এই ক্ষমতাগুলি অর্জন করে গ্রুপের মাথা হয়ে বসে থাকলেই চলবে না, সাথে কিন্তু তাদের বেশ কিছু অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করতে হবে, নইলে সোজা খেতে হতে পারে জেলের হাওয়া! আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই বলছি; গ্রুপে কে কী ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করছে তার ওপর ভিত্তি করে বা কেউ কোনো অবৈধ কাজ করলে তার ফলস্বরূপ কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাথে সাথে গ্রুপ অ্যাডমিনকেও জেলে যেতে হতে পারে। তাই গ্রুপে কী কী ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করা যেতে পারে বা পারে না, সে সম্পর্কে গ্রুপ অ্যাডমিনদের সম্যক জ্ঞান থাকা উচিত। তাই যদি সুরক্ষিত এবং নিরাপদে থাকতে চান এবং সেইসাথে জেলের হাওয়া না খেতে চান, তাহলে এই কাজগুলি কখনো ভুলেও হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে করবেন না, এবং কাউকে করতেও দেবেন না।

দেশবিরোধী কনটেন্ট শেয়ার করবেন না

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কখনো কোনো দেশবিরোধী কনটেন্ট শেয়ার করবেন না। এই কাজ করলে যে কনটেন্টটি শেয়ার করেছে তার সাথে সাথে গ্রুপ অ্যাডমিনকেও গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এবং এই ধরনের মামলায় বেশ কিছুদিন পর্যন্ত জেলের হাওয়া খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। খুব সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ অ্যাডমিনকে এই কারণবশত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করবেন না

কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি না নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে তার কোনো ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও শেয়ার করাও কিন্তু চরম অপরাধের আওতায় আসে। তাই এই ধরনের কোনো কাজ গ্রুপে করা হলে যে ফটো বা ভিডিও শেয়ার করেছে, তার পাশাপাশি গ্রুপ অ্যাডমিনের বিরুদ্ধেও চরম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

অকারণে হিংসা ছড়াবেন না

যে কোনো ধর্ম বা উপাসনাস্থলের ক্ষতি করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মেসেজ ছড়িয়ে দেওয়াও এক ঘৃণ্য অপরাধ। তাই এই ধরনের কোনো কাজ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে করলে তা কিন্তু পুলিশের চোখ এড়িয়ে যাবে না, আর তার ফলটা যে কী হবে তা নিশ্চয়ই আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না!

পর্নোগ্রাফিকে প্রশ্রয় দেওয়া নৈব নৈব চ!

হোয়াটসঅ্যাপে কোনো অশ্লীল ইমেজ বা ভিডিও শেয়ার করাও কিন্তু চরম অপরাধ। বিশেষ করে শিশুদেরকে কেন্দ্র করে নির্মিত পর্ন, বা দেহব্যবসা সম্পর্কিত মেসেজ বা ভিডিও শেয়ার করা অপরাধমূলক কার্যাবলীর আওতায় আসে। তাই গ্রুপে এই ধরনের কাজ করলে যে এই কাজ করেছে, তার পাশাপাশি গ্রুপ অ্যাডমিনেরও জেল হতে বাধ্য!

ভুয়ো খবর রটাবেন না

আমাদের সরকার কিন্তু বরাবরই ভুয়ো খবর এবং ভুয়ো কনটেন্ট রটানোর ক্ষেত্রে খুবই কঠোর। এবং যে কোনো জায়গায় যারা এই ধরনের কাজ করে, তারা কিন্তু কোনোভাবেই পার পায় না। হোয়াটসঅ্যাপেও তার অন্যথা হবে না। সেজন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যদি কেউ ভুয়ো খবর রটাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে যে খবর রটাচ্ছে, তার সাথে সাথে কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাডমিনকেও গিয়ে ঢুকতে হবে জেলে!