এক বছরের মধ্যেই এই রাজ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রি ৪০০% বেড়েছে

এ যেন ‘শাপে বর’। দেশে ক্রমশ পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সুফল দেখল মহারাষ্ট্র এবং মুম্বাই। পরিবহণ দপ্তরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এক লাফে বৈদ্যুতিক যানবাহনের নথিভুক্তকরণের সংখ্যা ৪০০ শতাংশ বেড়েছে মহারাষ্ট্রে। অন্যদিকে মুম্বাইতে এর হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ শতাংশে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের সংখ্যা ৮০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে মুম্বইয়ে রয়েছে ৮,৯৩৮টি বৈদ্যুতিক গাড়ি।

রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ২০২১ এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মহারাষ্ট্রে ২৩,৭৯৬টি ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) নথিভুক্ত হয়েছে। আবার এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ এর মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক (৪৬,১০৮টি) বৈদ্যুতিক গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে। যা এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর ২০২১-এর তুলনায় ৩৯০% বেশি। ২০২০-২১, ২০১৯-২০ এবং ২০১৮-১৯ নথিভুক্তকরণের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৯,৪১৫, ৭,৪০০ ও ৬,৩০০টি।

মুম্বইয়ে যেখানে ২০২১-২২-এ ৬,০০০টি ইভি নথিভূক্ত হয়েছিল, সেখানে এই বছরের প্রথম তিন মাসে সংখ্যাটি ২,৫০০-এ এসে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের ইভি নীতির কারণেই চাহিদা হঠাৎ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে WRI India-র একজন পরামর্শদাতা কৌস্তভ গোসাভি (Kaustubh Gosavi) বলেন, “বিক্রি হওয়া বৈদ্যুতিক গাড়ির মধ্যে ৮০% হল টু-হুইলার। যেগুলি বাড়িতে এবং পাবলিক চার্জিং স্টেশনে চার্জ করা সহজ।” তাঁর কথায়, “ইভি পলিসির আওতায় মুম্বইয়ে ১,৫০০ চার্জিং স্টেশন তৈরীর পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাটারি সোয়াপিং স্টেশন তৈরি করা হবে।”

প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের পরিবেশ মন্ত্রী আদিত্য থ্যাকারে গত বছর ইভি পলিসি চালু করেছিলেন। এরপর থেকে সমগ্র রাজ্যের পাশাপাশি মুম্বাইতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রিতে উত্থান নজরে পড়ে। ২০২৫-এর মধ্যে নতুন যানবাহন নথিভুক্তকরণের মধ্যে ১০% বৈদ্যুতিক করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে এই নীতিতে। এমনকি প্রতি তিন কিলোমিটারের মধ্যে একটি পাবলিক চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার কর কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।