Smartphones: চীনে লকডাউনের জের, ২০ কোটি স্মার্টফোন কম আসতে পারে বাজারে

করোনা অতিমারী বেশ বড়সড় থাবা বসিয়েছে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের বাজারে, যার ফল ভুগতে হবে চলতি বছরেও। একজন বিখ্যাত চাইনিজ চিপনির্মাতা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে স্মার্টফোন (Smartphone) সহ ল্যাপটপ-ডেস্কটপের চাহিদা যে হারে হ্রাসপ্রাপ্ত হচ্ছে তা কহতব্য নয়। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন যে, বর্তমানে বিশ্ববাজারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও করোনা লকডাউনের জেরে আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলতি বছরে ২০০ মিলিয়ন (২০ কোটি) ইউনিট স্মার্টফোনের আকাল পড়তে পারে।

দক্ষিণ চায়না মর্নিং পোস্ট সূত্রে খবর, সেমিকন্ডাকটাল ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন (SMIC) এর মতে, চীনে ফের লকডাউনের কারণে ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন কম তৈরি হবে এবছর। অনুমান, বর্তমানে ইলেকট্রনিক পন্যের চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড়সড় কোনো পরিবর্তন না আসার‌ই সম্ভাবনা। অন্যদিকে কোভিড পরবর্তী সাংহাইয়ে লকডাউনের জেরে চলতি ত্রৈমাসিকে ৫% উৎপাদন কমার সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

SMIC র প্রধান কার্যনির্বাহী ঝাও হাইজুনের কথায়, “সাংহাইয়ের বাইরে থাকা কারখানাগুলিতে কাজ চালিয়ে আমরা উৎপাদনের বিষয়টি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছি, কিন্তু সমস্যা হল পুরো ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে দেওয়া একেবারেই সম্ভব নয়।” তাঁর সংযোজন, “চীনা স্মার্টফোন বিক্রেতারা চলতি বছরে ২০০ মিলিয়ন ইউনিট শিপমেন্ট কমাতে পারেন। বহু অর্ডার ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে‌।”

ঝাও হাইজুনের দাবি, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৫% উৎপাদন হ্রাস হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা। পাশাপাশি সংস্থাটিকে সরঞ্জাম রপ্তানির ক্ষেত্রে বিলম্বের জেরে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যদিকে মার্কিন মুলুকের নিষেধাজ্ঞা আর‌ও একটি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে চাইনিজ এই জিপ জায়ান্টকে। প্রসঙ্গত, চীনে নতুন করে ২২২ টি করোনা কেস ধরা পড়েছে, যার মধ্যে সাংহাইতে রয়েছে ১৪৪ টি কেস।