মারুতি সুজুকির সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার সুফল দেখছে টয়োটা, নিয়ে আসছে সিএনজি গাড়িও

২০১৯ সালে টয়োটা কির্লোস্কার মোটর (Toyota Kirloskar Motor) ও মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) একটি মৌ স্বাক্ষরের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রথাগত জ্বালানি গাড়ির পাশাপাশি বিদ্যুৎ চালিত এবং স্বয়ংক্রিয় গাড়িও তারা যৌথভাবে নিয়ে আসার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিল। ওই বছরই গ্লাঞ্জা (Glanza) গাড়িটি বাজারে লঞ্চ করে টয়োটা। যা ছিল Maruti Suzuki Baleno-র রিব্যাজ ভার্সন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ব্র্যান্ডিং ছাড়া গাড়ি দুটির ফিচার ও স্পেসিফিকেশনে বিশেষ কোনো ফারাক নেই। এর তিন বছরের মধ্যে ৬৬,০২০ টি হাচব্যাক প্রিমিয়াম গ্লাঞ্জার মডেল বিক্রি করেছে Toyota।

যা থেকে এটি স্পষ্ট, Maruti Suzuki-র চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে বেচাকেনা বেড়েছে Toyota-র। রিপোর্ট অনুযায়ী, Toyota Glanza-র ৬৬% ক্রেতা এমন, যারা জীবনের প্রথম টয়োটার কোনও গাড়ি কিনেছেন। এ প্রসঙ্গে সংস্থার কার্যনির্বাহী সহ-সভাপতি (সেলস অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস) তাদাশি আসাজুমা (Tadashi Asazuma) বলেন, “Glanza গাড়িটি Toyota Kirloskar Motor বা TKM-কে একেবারে নতুন ক্রেতা টানতে সাহায্য করেছে।”

এদিকে, গত মঙ্গলবার ভারতের বাজারে দ্বিতীয় প্রজন্মের Glanza গাড়িটি লঞ্চ করেছে Toyota। এবারের মডেলটিও গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লঞ্চ হওয়া Maruti Suzuki Baleno-র দ্বিতীয় প্রজন্মের রিব্যাজ ভার্সন। নতুন Glanza-র দাম ৬.৩৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে শুরু। তবে প্রথম মডেলটির মত দ্বিতীয় প্রজন্মের Glanza-র সাথে Baleno-র বহিরঙ্গের মিল নেই বললেই চলে। টয়োটার ডিজাইনাররা মারুতি সুজুকির সাথে যৌথভাবে Glanza-র একটি নতুন রূপদান করেছেন। আবার Baleno সংস্থার ৪০টি ভিন্ন কানেক্ট ফিচারের সাথে এলেও, Glanza-তে দেওয়া হয়েছে Toyota i-Connect, অর্থাৎ ৪৫টি ভিন্ন কানেক্ট ফিচার।

আবার Glaza-র সিএনজি সংস্করণও লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে টয়োটা‌। এমনকি সংস্থার ওয়েবসাইটেই গাড়িটির ফুয়েল এফিশিয়েন্সি ২৫ কিলোমিটার বলে দেখানো হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে জানা গিয়েছে, এর সিএনজি ভ্যারিয়েন্টের নাম হবে Toyota Glanza e-CNG।